রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সংকট ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা

৯ বছর ধরে অধ্যাপকের পদ শূন্য

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সংকট ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা

২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের কয়েকটি হত্যাকান্ড ও ধর্র্ষণের ‘ফরেনসিক রিপোর্ট’ (ময়নাতদন্ত) এখনো আদালতে পৌঁছেনি। ওই সময় খুলনা মেডিকেল কলেজে কর্মরত ফরেনসিক চিকিৎসকদের অধিকাংশই অবসরে গেছেন বা অন্যত্র বদলি হয়েছেন। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের। আদালতে চলমান এ ধরনের প্রায় অর্ধশত মামলার ‘ফরেনসিক রিপোর্ট’ চেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজে ফরেনসিক বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চরম সংকট রয়েছে। ছয়টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে কর্মরত মাত্র একজন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবসরে যাওয়া সহকারী অধ্যাপক ডা. আ খ ম শফিউজ্জামানকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালে অধ্যাপক শাহ মো. শাহজাহান আলীর অবসরের পর প্রায় ৯ বছর ধরে ফরেনসিকের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে। এদিকে বিশেষজ্ঞ সংকটের কারণে সময়মতো ‘ফরেনসিক রিপোর্ট’ না পাওয়ায় সন্দেহ ও বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, হত্যাকান্ডের পর ঠিকমতো ‘ফরেনসিক রিপোর্ট’ না পাওয়ায় হত্যাকান্ডের ঘটনাও আত্মহত্যা বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। তবে কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. আ খ ম শফিউজ্জামান বলেন, গত এক বছরে হত্যাকান্ড, ধর্ষণ বা দুর্ঘটনায় নিহত ৬২৫টি ‘ফরেনসিক রিপোর্ট’ তৈরি করতে হয়েছে। পাশাপাশি কলেজে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া, পুরনো মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া- সব মিলিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘খুলনায় কয়েকটি হত্যাকান্ডের অভিযোগ ফরেনসিকে আত্মহত্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এতে ফরেনসিক রিপোর্ট নিয়ে অভিযোগ উঠলেও তার ভিত্তি নেই।’

কলেজের অধ্যাপক ডা. আবদুল আহাদ বলেন, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সংকটে পুরনো অনেক মামলার ‘ফরেনসিক রিপোর্ট’ দেওয়া যায়নি। এ ছাড়া আদালতে দেওয়া কয়েকটি প্রতিবেদন নিয়েও সন্দেহ ও বিতর্কের অভিযোগ রয়েছে। ফরেনসিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকট থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর