মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বরিশালে ভুল প্রশ্নে এসএসসি পরীক্ষা ক্ষতির মুখে অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুটি কক্ষের নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের অনিয়মিত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুর ১টায় পরীক্ষা শেষে এ ভুলের বিষয়টি ধরা পড়ে। ২০১৮ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে ২০২০ সালের নিয়মিত পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ায় সম্ভাব্য ক্ষতির মুখে পড়েছেন নগরীর জগদিস সারস্বত স্কুল অ্যান্ড কলেজের অর্ধ শতাধিক পরীক্ষার্থী। এতে তাদের ফলাফলে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা করছেন তারা। ভুলের দায় স্বীকার করেছেন হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান। এদিকে ভুল হয়েছে স্বীকার করে পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।  গতকাল প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা হলে পুরনো সিলেবাসের প্রশ্ন পেয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে অন্যান্য কক্ষের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশ্ন মেলাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা দেখতে পান, ভুল প্রশ্নপত্রে নেওয়া হয়েছে তাদের বাংলা প্রথম পত্রের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা। এ কারণে তারা প্রত্যাশা অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারেননি। অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকদের ভুলে তাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন হুমকিতে পড়েছে। শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকদের কঠোর বিচার দাবি করেন। সারস্বত স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহে আলম জানান, হালিমা খাতুন কেন্দ্রের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ভুলে তার প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী ২০২০ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারেনি। ভুলের দায় স্বীকার করেছেন হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান। ওই কক্ষে দায়িত্বরতরা গাফিলতি করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

এদিকে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার খবর পেয়ে হালিমা খাতুন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস। কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা ভুল করেছেন উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের প্রাপ্য অধিকার (নম্বর) থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি। এ ঘটনায় আজ (মঙ্গলবার) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলেন বোর্ড চেয়ারম্যান। তাদের কীভাবে প্রাপ্য অধিকার (নম্বর) দেবেন জানতে চাইলে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, সে সুযোগ বোর্ড কর্তৃপক্ষের রয়েছে। এবার হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে জগদিস সারস্বত স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪৭ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ২টি কক্ষের অর্ধ শতাধিক পরীক্ষার্থী ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর