মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

এক বছরে সরকারি চাকরিতে ৮৮ হাজার নতুন পদ

সংসদে তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংসদে জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে ২০১৯ সালে ৮৮ হাজারের বেশি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দফতরে ৮৮ হাজার ১২৩টি পদ সৃষ্টিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে। এ সময়ে ৯ম হতে ২০তম গ্রেডে ৮৪৬টি পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদের সংখ্যা তিন লাখ ২৫ হাজার ৮২টি। মন্ত্রী জানান, আদালতে মামলা থাকা, নিয়োগবিধি কার্যক্রম শেষ না হওয়া এবং পদোন্নতির জন্য যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্য পদ পূরণ করা যায় না। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে গতকাল লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী আরও জানান, গত অর্থবছরে শুধুমাত্র সরকারি যানবাহন চালানো বাবদ ১১১ কোটি ২৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সিলিংয়ের মধ্যে জ্বালানি ব্যয় সীমাবদ্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট দফতর এবং সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে কাজ পরিদর্শনে সরকারি যানবাহনের পরিবর্তে পাবলিক পরিবহন ব্যবহারের জন্য সরকারি কর্মচারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

নদী তীরবর্তী ৫ হাজার ৫৭৪ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানিয়েছেন, অবৈধ নদী দখলদারদের কবল থেকে ৬৪ জেলায় এ পর্যন্ত ৫৯৩ একর জমি উদ্ধার ও ৫ হাজার ৫৭৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ২৯৪টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে ‘জেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র উদ্যোগে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের ৬৪ জেলার ৩৭৫টি উপজেলায় ৪৪৮টি  ছোট নদী ও খাল এবং জলাশয় খনন ও পুনঃখনন কাজ চলছে। নদীর জমি উদ্ধারে এবং দেশের নদ-নদীর পানি দূষণরোধে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

মৃতপ্রায় সব নদী উদ্ধারে পুনঃখনন করা হবে :  সরকারি দলের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের এক প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের সব মৃতপ্রায় নদী উদ্ধার করে পুনঃখনন করা হবে। সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্বল্পমেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে ঢাকার চারপাশে প্রবাহিত বুড়িগঙ্গা শীতলক্ষ্যা তুরাগ, বালু নদী ছাড়াও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবৈধ উচ্ছেদের লক্ষ্যে ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে।       

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর