ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুল হক ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় এখনো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটি। তদন্ত শেষ করতে কয়েক দফা সময় বৃদ্ধির পর আবারও ১৫ কার্যদিবসের সময় নিয়েছে তারা। এদিকে, প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় দেরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভিপি নূর। ‘হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের রেহাই দিতে’ এই বিলম্ব করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনের নিজ কার্যালয়ে হামলার শিকার হন ভিপি নূর ও তার সহযোগীরা। এতে নূরসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এই হামলার জন্য শুরু থেকেই ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের দায়ী করে আসছেন ভিপি নূরসহ অন্যরা।  হামলার পরদিন ঘটনা তদন্তে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে প্রথমে ছয় কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও নির্ধারিত সময়ে তা দিতে না পারায় তাদেরই অনুরোধে আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। তবে সেই সময়সীমা শেষ হলেও তদন্ত শেষ হয়নি। পরে কমিটির প্রধান উপাচার্যের কাছে আরও সময় চান। উপাচার্য সময় বাড়িয়ে দেন। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ওই সময়ও শেষ হয় ২৯ জানুয়ারি। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি। কাজ শেষ করতে আরও ১৫ কার্যদিবসের সময় নিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, এত বড় ঘটনা, তদন্ত করতে সময় লাগবে। ভিসি স্যারের কাছে আরও ১৫ দিনের সময় নিয়েছি। প্রতিবেদন তৈরি হলে তা প্রকাশ করা হবে। সংশ্লিষ্ট ২২ জনের সাত ঘণ্টার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। সেগুলোর রেকর্ড লেখা হবে। তা থেকেই প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।