শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

চেয়ারম্যান-সচিব দ্বন্দ্বে বেতন বন্ধ কর্মচারীদের

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ছয়জনের পদোন্নতি নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সচিবের। আর এ দ্বন্দ্বে বেতন বন্ধ হয়ে আছে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

জানা গেছে, নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি অবসরোত্তর ছুটিভোগী (পিআরএল), অবসরভোগী, পারিবারিক পেনশনভোগী, চিকিৎসা ভাতাভোগী, কল্যাণ ভাতাভোগীরাও পাননি তাদের প্রাপ্য। সংসার চালানোসহ যাবতীয় খরচের জন্য বেতন-ভাতার অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা এ ক্ষেত্রে পড়েছেন চরম বেকায়দায়। সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যানসহ শিক্ষা বোর্ডে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ১৫২ জন। মাস্টাররোল (চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত) কর্মী আছেন ৬৫ জন। এ ছাড়া পিআরএল ও অবসর ভাতাভোগী আছেন আরও ২ শতাধিক। এত দিন ধরে প্রতি মাসের ২৬-২৭ তারিখের মধ্যে বেতন-ভাতা পেয়ে এলেও জানুয়ারি শেষ হয়ে ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখ পর্যন্তও তা মেলেনি। সূত্র জানিয়েছেন, ২৬ জানুয়ারি সংস্থাপন শাখা থেকে বেতন-ভাতার ফাইল ওঠে। ওইদিন বোর্ডের উপসচিব খোরশেদ আলম ও ওয়ালিদ হোসেন বেতন দেওয়ার সুপারিশ করেন। পরদিন ২৭ জানুয়ারি সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত ছয়জনকে আগের পদ-পদবি অনুসারে ডিসেম্বরের তালিকায় বেতন দেওয়ার পক্ষে মত দেন। সেদিনই বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোকবুল হোসেন বেতন-ভাতা দেওয়ার আদেশ দেন। একই সঙ্গে ফিকসেশন ও পদন্নোতিপ্রাপ্তদের পরবর্তী বোর্ডসভায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যানের সেই বক্তব্যের পক্ষে মত দিয়ে স্বাক্ষর করেও পরে আবার কেটে দেন সচিব। তাই ২৯ জানুয়ারি আবারও ফাইল যায় চেয়ারম্যানের দফতরে। ওইদিন চেয়ারম্যান আবারও বেতন-ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর ফাইল যায় সচিবের দফতরে। তাতে আবারও ছয়জনকে নিয়ে আপত্তি জানিয়ে মতামত দেন সচিব। এ কারণে বেতন হয়নি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। শিক্ষা বোর্ডের সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ছয়জনের সাম্প্রতিক পদোন্নতির বিষয়ে তিনি জানেন না। পদোন্নতির অফিস আদেশে তার স্বাক্ষর নেই।

শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোকবুল হোসেন বলেন, কোনো বোর্ডসভার আগেই চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতাবলে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে পরবর্তী বোর্ডসভায় সেগুলো অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়। তাই ছয়জনের পদোন্নতির আদেশ অবৈধ নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর