শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

আসছে ৬০০ নতুন বই

চট্টগ্রামে একুশে মেলা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

আসছে ৬০০ নতুন বই

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সৃৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য মেলায় চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত হবে ছয় শতাধিক বই। মেলা আয়োজনে প্রস্তুত চসিক। সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকাশকরা। আগামী ১০ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আজ বিকালে মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে সংবাদ সম্মেলন।  সৃৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এবারের মেলায় স্টল থাকবে ২০০টি। এর মধ্যে ডাবল ৫৯টি এবং সিঙ্গেল ৮৭টি। বাকিগুলো ফুড, তথ্যকেন্দ্র, পুলিশ ও অফিসসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হবে। চট্টগ্রামের ৩৮টি প্রকাশনা সংস্থা থেকে মেলা উপলক্ষে ছয় শতাধিক নতুন বই প্রকাশিত হবে। ইতিমধ্যে প্রকাশকদের সিংহভাগ বই ছাপার পর বাইন্ডিংয়ের কাজ চলছে। সৃৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রামের ৩৮টি প্রকাশনী থেকে ছয় শতাধিক বই প্রকাশিত হবে বলে জেনেছি। তাছাড়া, ঢাকা, সিলেট, দিনাজপুর, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও প্রকাশকরা আসবেন।’ শৈলী প্রকাশনের পরিচালক আরিফ রায়হান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধসহ সব মিলে শৈলী প্রকাশন থেকে এবার ৩০টি নতুন বই প্রকাশ হবে।’ আপন আলো’র প্রকাশক নাজমা হক বলেন, ‘বইমেলায় আমরা নতুন ২৫টি বই প্রকাশ করব। সবগুলো বইয়ের কাজ এখন প্রায় শেষ।’ ুচসিক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিতব্য বইমেলার আয়োজনে চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি। নান্দনিক অবয়ব দেওয়া হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণকে। বইমেলাকে দৃষ্টিনন্দন, বর্ণিল এবং সমৃদ্ধ করতে যোগ করা হচ্ছে নানা অনুষঙ্গ। প্রথমবারের মতো থাকবে তিন দিনের দেশি-বিদেশি খ্যাতিমান ‘লেখক সম্মেলন’, দিনব্যাপী থাকবে ‘নাট্যোৎসব’, ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে ‘বর্ণমালা উৎসব’, বিভিন্ন আয়োজন নিয়ে থাকবে ‘শিশু প্রহর’সহ নানা অনুষঙ্গ। চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘এখন চলছে বইমেলার  সর্বশেষ প্রস্তুতি। আজ শনিবার বিকালে মেলা প্রাঙ্গণে হবে সংবাদ সম্মেলন। সোমবার বিকালে হবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। মেলাকে সমৃদ্ধ, বর্ণিল, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং জাতীয় মানের করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আশা করছি, গতবারের চেয়ে এবার আরও সমৃদ্ধ ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য মেলা আমরা চট্টগ্রামসহ সারা দেশের মানুষকে উপহার দিতে পারব।’ জানা যায়, স্বাধীনতার প্রায় পাঁচ দশক পার করলেও ঢাকার বাংলা একাডেমির আদলে চট্টগ্রামে পরিপূর্ণ কোনো বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর নগরের পৃথক পৃথক স্থানে বইমেলার আয়োজন করা  হলেও সেগুলো পূর্ণতা পেত না। প্রতিটি মেলাই ছিল প্রায় লেখক, পাঠক ও দর্শকশূন্য। গত বছর প্রথমবারের মতো চসিকের উদ্যোগ ও সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহযোগিতায় বড় পরিসরে মেলা আয়োজনের সূচনা হয়। প্রথম বছরই মেলায় পাঠক-দর্শকের আশানুরূপ সাড়া মেলে। এ বছরও নবউদ্যোমে বইমেলার আয়োজন চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর