রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

হুন্ডিতে টাকা পাচারের নিরাপদ রুট বেনাপোল-শার্শা

বেনাপোল প্রতিনিধি

হুন্ডিতে টাকা পাচারের নিরাপদ রুট বেনাপোল-শার্শা

যশোরের বেনাপোল ও শার্শা সীমান্ত চোরাচালানের জন্য দেশি-বিদেশি চোরাকারবারিদের কাছে অতিপরিচিত একটি নাম। এ সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচার হয় সোনা আর ভারত থেকে এ দেশে আসে অস্ত্র ও ফেনসিডিল। চোরাকারবারিরা অস্ত্র ও ফেনসিডিলের টাকা ভারতে পাঠায় হুন্ডির মাধ্যমে। বিজিবি ও পুলিশের কড়া নজরদারির মধ্যেও থেমে নেই হুন্ডি ব্যবসায়ীরা। গত দুই বছরে এ সীমান্ত এলাকা থেকে ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ৮ লাখ ইউএস ডলার, ৮ লাখ ভারতীয় রুপি ও ৭০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড জব্দ করেছে বিজিবি, পুলিশ ও শুল্ক গোয়েন্দা।

বিজিবি ও পুলিশের পৃথক দুটি পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে সীমান্তের মানুষের অভিযোগ, যে পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা আটক হয়েছে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মুদ্রা ভারতে পাচার করেছে এ চক্রটি। মুদ্রা পাচারের অভিযোগে বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা থানার পুলিশ গত দুই বছরে ৯৭ জনকে আসামি করে ৭১টি মামলা দিয়েছে। অভিযোগ আছে বেনাপোল চেকপোস্টের বৈধ-অবৈধ মানিচেঞ্জার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে, তারা প্রশাসনের নাকের ডগায় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মাধ্যমে সীমান্তপথে হুন্ডির টাকা পাচার করছে অহরহ। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ আটক হলেও পর্দার আড়ালে থেকে যাচ্ছে প্রকৃত পাচারকারীরা। বেনাপোল চেকপোস্টে নামসর্বস্ব দোকান দিয়ে প্রকাশ্যে এ কারবার চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় সীমান্তের মানুষের কাছে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

বেনাপোলে ভারতের সঙ্গে ৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। যশোর ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা জানান, ভারতের কলকাতা শহরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় হুন্ডি পাচারকারীরা বেনাপোল সীমান্তকে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করে। হুন্ডির টাকা পাচার প্রতিরোধে বিজিবি গত দুই বছরে ১৬ কোটি হুন্ডির টাকা জব্দ করেছে এ সীমান্ত এলাকা থেকে।

নাভারণ সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানায় গত দুই বছরে অর্থ পাচার আইনে ৯৭ জনকে আসামি করে ৭১টি মামলা হয়েছে। এ সময় ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ৮ লাখ ইউএস ডলার, ৮ লাখ ভারতীয় রুপি ও ৭০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড জব্দ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর