রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রশাসনিকভাবে সিট বণ্টনসহ নানা সিদ্ধান্ত

ডাকসুর নির্বাহী সভা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাহী সভা গতকাল ডাকসু ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সভায় হলে প্রশাসনিকভাবে সিট বণ্টন নিশ্চিতকরণ, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিবহন সমস্যা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য সংস্কার, ইতিহাস সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক ও জিএস গোলাম রাব্বানী।

ডাকসুকে ক্যালেন্ডার ইভেন্ট করার ব্যাপারে চুপ ছিলেন উপাচার্য : আগামী ২২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে ডাকসুর চলতি সংসদের মেয়াদ। এটিকে ক্যালেন্ডার ইভেন্ট করার ব্যাপারে সভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা সবাই চাই নিয়মিতভাবে ডাকসু নির্বাচন হোক। উপাচার্য স্যারও বলেছেন, আরেকটি বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’ এ সময় পাশ থেকে ভিপি নুরুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে স্যার কিন্তু কোনো মন্তব্য করেননি।’  পরে বিষয়টি নিয়ে ভিপি নূর বলেন, ‘আজকের সভায় সমাজসেবা সম্পাদক  আখতার হোসেন এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো, ডাকসুর অন্য সদস্যরা সেটি নিয়ে আলোচনা করতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। উপাচার্যও এ বিষয়ে তেমনভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।’ গুচ্ছ পরীক্ষায় ডাকসুরও ‘না’ : গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ‘না’-বোধক মত দিয়েছে ডাকসু। এ বিষয়ে জিএস গোলাম রাব্বানী জানান, ‘গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে উপাচার্যের সভাপতিত্বে জাতীয় অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে যে বৈঠক হয়েছিল, ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে ডাকসুও সম্মিলিতভাবে একমত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে এবং ’৭৩-এর অর্ডিন্যান্স বহাল রাখতে আমরা গুচ্ছ পরীক্ষায় না যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছি।’ অন্যান্য সিদ্ধান্ত : সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তের বিষয়ে গোলাম রাব্বানী জানান, ইতিমধ্যে কোনো হলে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় সিট বণ্টনে ব্যত্যয় ঘটে থাকলে তা হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের জানানোর জন্য বলা হয়েছে। এ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। যাদের (ছাত্রত্বের) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের তিন বা ছয় মাসের মধ্যে হল ছাড়তে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু, এফ রহমান, এসএম ও জসিম উদ্দীন হলসহ পাঁচটি হলে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি করে বাঙ্ক বেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট করতে কিছুটা বাধা আছে। অনুমতি পাওয়া গেলে সেটা হবে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনসহ যেসব ভাস্কর্য আছে তাও সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে একটি কমিটি করা হয়েছে। ভাস্কর্যগুলোতে পাদটীকা যুক্ত করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। ক্যাম্পাস থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত একটি পরিবহন রুট বৃদ্ধি এবং শিগগিরই শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য সাধারণ বীমা করপোরেশন থেকে তিনটি বাস দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী। এ ছাড়া ডাকসুর অডিট সম্পন্ন করতে দুজন শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি এবং শিক্ষার্থীদের অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা নিশ্চিত করতে পৃথক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ছাড়া নির্বাহী সভায় পূর্ববর্তী নির্বাহী সভার কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও সুযোগ নিশ্চিত করা, প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য নবীনবরণ-২০২০ আয়োজন, ক্যাম্পাসে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে করণীয়, বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন ফি নীতিমালা, ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ দোকান নির্দিষ্ট করা প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর