ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন জাতীয় সংসদে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, শরিয়ত বাউলকে আইসিটি আইনে গ্রেফতার করে জেলখানায় রাখা হয়েছে, অথচ যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর পক্ষে ওয়াজকারী মিজানুর রহমান আজহারী কীভাবে দেশ ছাড়লেন? গতকাল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় এই প্রশ্ন তুলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সাবেক মন্ত্রী মেনন বলেন, আমাদের দেশে শরিয়ত ও মারফতের দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। এখন সৌদি-পাকিস্তানি ও জামায়াতিদের ওহাবিবাদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত করতে এ ধরনের দ্বন্দ্বের সম্পর্কে যখন রাষ্ট্রীয় আইন ব্যবহার করা হয়, তখন তা উদ্বেগের বিষয়। রাষ্ট্র কি অতীতের মতো আবার মৌলবাদকে পৃষ্টপোষকতা দিচ্ছে? না হলে আজহারী দেশ ছেড়ে যেতে পারেন না। খতমে নবুয়ত নতুন করে হুঙ্কার ছাড়তে পারে না। হেফাজত সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দিতে পারে না। এরাই কদিন পর পাকিস্তানি কায়দায় ব্ল্যাসফেমি আইন প্রণয়ন করতে বলবে, যেমন এই সংসদেই যুদ্ধাপরাধী নিজামী সেই প্রস্তাব তুলেছিল। বঙ্গবন্ধু এদেশকে ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতি উপহার দিয়েছিলেন উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কেবল সোচ্চার ছিলেন না কেবল, বাস্তবে তার অনুসরণ করেছিলেন। ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করা হবে এমআরপি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেছে। বিদ্যমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও ই-পাসপোর্ট যুগপৎভাবে চলমান রয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করা হবে। বর্তমানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকার তিনটি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সকল অফিসে এটা চালু হবে। গতকাল জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রশ্নকত্রীঁ ছিলেন শামসুন নাহার। দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দী রয়েছে। বর্তমানে কারাগারগুলোতে বন্দী ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার ৯৪৪। আর কারাবন্দীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৪ জন।
এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নতুন আইনে মাদক ব্যবসার নেপথ্যে ভূমিকা পালনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের ইয়াবা পাচারকারীরা বাংলাদেশকে একটি রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। সুলতানা নাদিরার লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হলেও ভৌগোলিক কারণে মাদক সমস্যার কবলে পড়েছে। ইয়াবা প্রবেশ করে মিয়ানমার থেকে। আর ভারত থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ প্রবেশ করে বাংলাদেশে।