মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

গ্রেফতার হয়নি সন্ত্রাসী রিয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই সাংবাদিককে হেনস্তার পরও গ্রেফতার হয়নি পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম খান রিয়াদ। ১ ফেব্রুয়ারি ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় সিটি নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে যান বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টার মাহবুব মমতাজী ও দি বিজনেজ স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্টার নুরুল আমিন জাহাঙ্গীর।  এ সময় গনি সওদাগর নামে এক ব্যক্তি তাদের জানান, নিজের কোমরে অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রের বুথ দখলে রাখেন গেন্ডারিয়ার সন্ত্রাসী রিয়াদ। তাকে কেন্দ্র থেকে ভোট দেওয়ার আগেই বের করে দিয়েছে। দুই সাংবাদিক ওই দুই ভোটারের ছবি নেন এবং তাদের বক্তব্য রেকর্ড করে রাখেন। এরই মধ্যে রিয়াদ এসে তাদের  পেছন থেকে আচমকা কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয় তারা। তাদের সোয়া ঘণ্টা ধরে ভোট কেন্দ্রে অবরুদ্ধ করে রাখে। ভয়ভীতি দেখায়। বেলা ১২টার দিকে পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হান্নানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এলে ওই দুই সাংবাদিক বিষয়টি তাকে জানান। এরপর রিয়াদ পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনেই সাংবাদিকদের মোবাইলের পাসওয়ার্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য মুছে দেয়। এরপর মোবাইল ফোন ওই দুই সাংবাদিককে ফিরিয়ে দেয়। মোবাইলের তথ্য মুছে দেওয়ার সময় পুলিশের সামনে রিয়াদের কোমরে অস্ত্র বহন করতে দেখা যাচ্ছিল, তার কালো জ্যাকেটের এক পাশে অস্ত্রের একটি অংশ বেরিয়ে ছিল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক। পরদিন রবিবার রাতে গেন্ডারিয়া থানায় ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই উল্টো জিডি করে রিয়াদ। এই জিডির কপি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর চারদিকে নিন্দার ঝড় ওঠে। সন্ত্রাসী রিয়াদসহ ভোটের দিন সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় সবাই। এরপরই সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনাকে অনাকাক্সিক্ষত উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম খান রিয়াদকে।  এদিকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নুরুল আমীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগ। কমিটির অন্যরা হলেন- ওয়ারী বিভাগের শ্যামপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ আলম ও গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া। এডিসি নুরুল আমীন জানান, তদন্ত প্রতিবেদন তিন কার্যদিবসের মধ্যেই দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়নি। আমরা সময় আবেদন করে দ্রুতই প্রতিবেদন জমা দেব।

সর্বশেষ খবর