শিরোনাম
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সুদীপ্ত হত্যায় জড়িত অনেক রাঘববোয়াল

১৮ জনকে গ্রেফতার

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যায় সম্পৃক্ত একের পর এক রাঘববোয়ালের নাম উঠে আসছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তে তিন প্রভাবশালী নেতাসহ উঠে এসেছে কমপক্ষে ৩০ জনের নাম। ইতিমধ্যে ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পিবিআই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘আলোচিত এ মামলা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে অনেকের নাম উঠে এসেছে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে সংগ্রহ করা সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ, গ্রেফতার হওয়া আসামিদের জবানবন্দি এবং মামলার আলামতসহ বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আলোচিত এ হত্যা মামলার সব কিছু এখন তদন্তকারী সংস্থার নখদর্পণে। তবে মামলার তদন্তের কিছু অংশ আটকে আছে সুদীপ্ত হত্যার পর থেকে পলাতক আবু জিয়াদ ছিদ্দিকীর ওপর। জিয়াদকে এ হত্যা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পলাতক জিয়াদই কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের সুদীপ্ত বিশ্বাসের বাসার ম্যাপ তৈরি, বাসার ঠিকানা এবং বাসা চিনিয়ে দেয়। ঘটনার আগে ও পরে সব কিছু জিয়াদের মাধ্যমেই পর্যবেক্ষণ করেন এ খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমের ঘনিষ্ঠজন ‘ট’ আদ্যক্ষরের আলোচিত নেতা। মূলত আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখি, সিটি কলেজে আধিপত্য বিস্তারসহ কয়েকটি কারণে সুদীপ্তকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পিবিআই। কিলিং মিশনে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ৪০ থেকে ৫০ জন অংশ নেয়। যার মধ্যে ঘটনাস্থলেই সক্রিয় ছিল তিনটি গ্রুপ। ইতিমধ্যে এ খুনের সঙ্গে জড়িত ৩০ জনের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। যার মধ্যে কমপক্ষে তিনজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা রয়েছে। এরই মধ্যে দিদারুল আলম মাসুমসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে তিনজন ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর নগরীর সদরঘাট থানাধীন নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনার তার বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাদী হয়ে নগরীর সদরঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পিবিআই।

সর্বশেষ খবর