রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতির সংবাদ সম্মেলন

নোট-গাইড বলে কোনো বই নেই বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বাজারে কোনো নোট-গাইড বইয়ের অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতি। সংগঠনটির দাবি- অনুশীলনমূলক বইকে নোট-গাইডের মাপকাঠিতে ফেলে বিক্রিতে বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা পুরোপুরি কোচিং সেন্টার ও গৃহশিক্ষকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন-২০১৯-এর কয়েকটি ধারা-উপধারা সংশোধনের দাবিতে আরও কয়েকটি সংগঠনকে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতি। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, আইনে নোট গাইডকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে কিন্তু অনুশীলন বইয়ের কোনো সংজ্ঞা নেই।

 নোট গাইডে পাঠ্যবইয়ের দেওয়া প্রশ্নের উত্তরগুলো দেওয়া থাকে, যা শিক্ষার্থীরা মুখস্থ করে পরীক্ষায় অংশ নেয়। অনুশীলন বইয়ের বিষয়বস্তু হচ্ছে পাঠ্য বিষয়ের সহজে অনুধাবন, প্রশ্নের নমুনা, উন্নত উত্তর লিখন পদ্ধতি। শিক্ষার্থীরা অনুশীলন বই মুখস্থ করে না। সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষায় কোনো প্রশ্ন কমন পড়ে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুশীলন বইয়ের সহায়তায় পাঠ্যপুস্তক বই প্রকাশিত হয় বলে দাবি করেন তিনি।

সংগঠনটির সহসভাপতি কামরুল হাসান শায়ক বলেন, ‘বাজারে কোনো নোট-গাইড বইয়ের অস্তিত্ব নেই। অনুশীলনমূলক বইকে নোট-গাইডের মাপকাঠিতে ফেলে বিক্রিতে বিধিনিষেধ আরোপের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা শিক্ষা খাত তথা জাতির বৃহত্তর স্বার্থে পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। অনুশীলন বই বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা পুরোপুরি কোচিং সেন্টার ও গৃহশিক্ষকের ওপর নির্ভর হয়ে পড়বে। এ ছাড়া এ খাতের সঙ্গে জড়িত ২৩ লাখ ১০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।

এদিকে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন-২০১৯ সংশোধনের দাবিতে আগামীকাল সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি ও বই বিক্রির দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আরিফ হোসেন ছোটন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি শ্যামল পাল, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, পরিচালক কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর