শিরোনাম
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
চসিক নির্বাচনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর হলফনামা

রেজাউলের নগদ অর্থ এক লাখ ডা. শাহাদাতের ১৫ লাখ টাকা

সাইদুল ইসলাম ও রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

রেজাউলের নগদ অর্থ এক লাখ ডা. শাহাদাতের ১৫ লাখ টাকা

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে নগদ আছে মাত্র এক লাখ টাকা। অন্যদিকে, বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের নগদ আছে ১৫ লাখ টাকা। পক্ষান্তরে রেজাউল করিম চৌধুরীর নামে কোনো মামলা না থাকলেও ডা. শাহাদাত হোসেনের কাঁধে ঝুলছে ৪৮টি মামলা। গতকাল নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে  জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া যায়।        

রেজাউল করিম চৌধুরী : হলফনামা সূত্রে জানা যায়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ  সাত লাখ আট হাজার ৫৩৯ টাকা। স্ত্রীর নামে ৩২ লাখ ২৭ হাজার ৯০ টাকা। পোস্টার, সেভিংস নিজ নামে না থাকলেও স্ত্রীর নামে আছে ২০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড। নিজ নামে একটি চার লাখ টাকা দামের মোটর গাড়ি আছে। সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে বিবাহ সূত্রে নিজ নামে ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের ২০ তোলা  সোনা ও স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা মূল্যমানের ৪০ তোলা সোনা আছে। বিবাহসূত্রে  নিজ  নামে ১০ হাজার টাকার

ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও এক লাখ টাকার আসবাবপত্র আছে। বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন : হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন পশ্চিম বাকলিয়ার ডিসি রোড এলাকার আহমদুর রহমানের ছেলে শাহাদাত হোসেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিবিএস ডিগ্রিধারী। পেশায় একজন চিকিৎসক। তার বিরুদ্ধে আদালত ও নগরের বিভিন্ন থানায় ৪৮টি মামলা বিচারাধীন আছে।  বিএনপির ডা. শাহাদাতের বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৬২৫ টাকা। এরমধ্যে বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ নিজের আয় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৫ টাকা, পেশাগত আয় ১৭ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা।

অন্যদিকে ডা. শাহাদাতের নিজ নামে অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ২৩ লাখ ৯ হাজার ২২৭ টাকা। এর মধ্যে নিজের নগদ টাকা আছে ১৫ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৭ টাকা, নিজের নামে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার বাবদ ৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৫০ টাকা। শাহাদাতের নিজের নামে ১১ লাখ ৮০ হাজার মূল্যমানের কার (ফিল্ডার-টয়োটা) ও ২৭ লাখ ২০ হাজার মূল্যমানের ভি-৭৩ মডেলের পুরনো জিপ গাড়ি আছে। ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের নিজের নামে স্বর্ণালঙ্কার আছে। ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মধ্যে নিজ নামে ২৫ হাজার টাকা মূল্যমানের ফ্রিজ ও ২৫ হাজার টাকা মূল্যমানের টিভি আছে। খাট, সোফা সেট, আলমিরা, ওয়ার্ডরৌব মিলিয়ে নিজ নামে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র আছে। অন্যান্য সম্পদের মধ্যে ট্রিটমেন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিজের ব্যবসায়িক মূলধন ৩ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৬০০ টাকার সম্পদ আছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ডা. শাহাদাতের নিজ নামে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ আছে। এর মধ্যে নিজ নামে ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১৮ শতক এবং ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ১.৫ কাঠা অকৃষি জমি আছে। নিজ নামে ৬৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকার আটতলা বিশিষ্ট একটি দালানের এক অংশ আছে। এছাড়াও ৩৫ লাখ টাকা দামের একটি এপার্টমেন্ট আছে শাহাদাতের। ব্যাংক ঋণের মধ্যে শাহাদাতের নিজ নামে উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানে ৩ কোটি ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে ২৯ লাখ ৮১ হাজার ১৩২ টাকা ঋণ আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর