শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

রংপুরে অ্যাপের মাধ্যমে শতভাগ ধান সংগ্রহ নেই

এখনো সাড়ে তিনশ কৃষক ধান বিক্রি করতে আসেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

বাজার মূল্যের চেয়ে সরকারি মূল্য অনেক বেশি হওয়া এবং পর পর পাঁচ দফা সময় বাড়িয়েও অ্যাপের মাধ্যমে শতভাগ ধান সংগ্রহ করতে পারেনি রংপুর সদরের খাদ্য বিভাগ। বিগত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে প্রথমবারের মতো অ্যাপের মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। রংপুর সদর উপজেলায় ২ হাজার ৬৯৬ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও গতকাল পর্যন্ত ধান ক্রয় করা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৪০০ টন। সদর উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষকরা যাতে সরাসরি ধান খাদ্য বিভাগে বিক্রি করতে পারে এই লক্ষ্য সামনে রেখে পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ১৬টি উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে রংপুর সদর উপজেলা একটি। প্রথম দিকে অ্যাপে ধান বিক্রিতে কৃষকরা খুব একটা সাড়া না দিলেও খাদ্য বিভাগ প্রচারণা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ায় কৃষকরা অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রির আবেদন করেন। প্রথম দফায় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে কৃষকদের কাক্সিক্ষত সাড়া না পাওয়ায় নতুন করে আরও সাত দিন ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এতেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় তৃতীয় দফায় ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান ক্রয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়।

তৃতীয় দফায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় চতুর্থ বারের মতো ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ৫ মার্চ পর্যন্ত ধান সংগ্রহের সময় বাড়ানো হয়।

খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপে ধান বিক্রির জন্য লটারির মাধ্যমে সদরে ২ হাজার ৮৯ জন কৃষককে নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ জনের মতো কৃষক অ্যাপের মাধ্যমে খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করেছে। তবে এখনো লটারিতে নাম ওঠা প্রায় সাড়ে তিনশ কৃষক খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে আসেনি।

বর্তমানে বাজারে ধান বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। সরকার কৃষকদের কাছ থেকে আমন ধান ক্রয় করছে প্রতি কেজি ২৬ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি মণ ১০৪০ টাকা। সরকারি মূল্য বাজার মূল্য থেকে তিন থেকে চারশ টাকা বেশি হওয়ার পরেও কৃষকরা অ্যাপে ধান বিক্রিতে তেমন একটা সাড়া দিচ্ছে না। কৃষক বুলবুল, আফজালসহ কয়েকজন জানান, খাদ্য বিভাগের টাকা পেতে ঝামেলার ভয়ে অনেকেই ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর