বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সাধারণ ও ইকোনমি নামে এ বছরের জন্য দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-(হাব)। সাধারণ প্যাকেজের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা। আর ইকোনমি প্যাকেজের জন্য ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা। হজ প্যাকেজের সমুদয় খরচ আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে এজেন্সির অনুকূলে পরিশোধ করতে হবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হজ প্যাকেজ দুটি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। এ সময় হাব সহসভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতি, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। হাব সভাপতি বলেন, হজযাত্রীদের কোরবানির টাকা হজ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। হজযাত্রীদের কোরবানির জন্য প্রত্যেককে ৫২৫ রিয়াল নগদ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি দুটি হজ প্যাকেজের পাশাপাশি প্রত্যেক হজ এজেন্সি স্পেশাল একটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।
তবে কোনো এজেন্সি হজ প্যাকেজের সর্বনিম্ন খরচ বা মূল্যের কমে কোনোভাবেই হজযাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারবে না। হজযাত্রীদের বাড়তি বিমানভাড়া নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা- জানতে চাইলে হাব সভাপতি তসলিম বলেন, ‘না, সন্তুষ্ট নই। এবার কোনো কারণ ছাড়া ১২ হাজার টাকা বাড়তি বিমানভাড়া ধরা হয়েছে। হজ প্যাকেজে সেটা কমানো হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা। এখনো ১০ হাজার টাকা বিমানভাড়া বাড়তি রয়েছে। আমরা এ বর্ধিত বিমানভাড়া কমানোর দাবি করছি।’ অযৌক্তিক বিমানভাড়া বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিমান নিজেই কারও সঙ্গে আলাপ ছাড়া এ ভাড়া নির্ধারণ করেছে। তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে ভাড়া নির্ধারণ করা হলে এভাবে অযৌক্তিক ভাড়া বাড়ত না।