শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

মোংলা বন্দরে দুই কনটেইনার গার্মেন্ট পণ্যের হদিস নেই

চীন থেকে আনা হয় ‘পলেস্টার ফেব্রিক্স’

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

মোংলা বন্দরে দুই কনটেইনার গার্মেন্ট পণ্যের হদিস নেই

মোংলা বন্দরে চীন থেকে আমদানিকৃত দুই কনটেইনারে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ‘পলেস্টার ফেব্রিক্স’ (কাপড়) পণ্যের হদিস মিলছে না। বন্দরের ১ নম্বর জেটিতে দুই কনটেইনারের একটি পুরোপুরি খালি পাওয়া গেছে। পণ্যের চালানের ওজন নিশ্চিত হওয়ার জন্য অপর কনটেইনারটি না খুলেই স্কেলে পরিমাপ করলে নিট ওজন ‘শূন্য’ দেখা যায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।  এদিকে, এ বিষয়ে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ঢাকার গাজীপুরের আমদানিকারক মেসার্স জিম অ্যান্ড জেসি কম্পোজিট লিমিটেড। সেই সঙ্গে মোংলা থানায় জিডি করা হয়েছে। জানা যায়, চীন থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের আমদানিকৃত পণ্যের কনটেইনার নিয়ে জাহাজ এমভি এমসিই কিওটো ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরে ভিড়ে। পরে পণ্য খালাসের জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই দুই কনটেইনার এমএসকেইউ-৯০৬৮০৯৬-৪০ ও এমএসকেইউ-৬০৪৭১৭০-৪০ এর কায়িক পরীক্ষণের জন্য কাস্টমস বরাবর আবেদন করে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত সিএনএফ এজেন্ট দি মেরিনার্স ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেড। কিন্তু ১৬ ফেব্রুয়ারি কাস্টমস কর্মকর্তা, সিএনএফ এজেন্ট ও বন্দরের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এমএসকেইউ-৬০৪৭১৭০-৪০ কনটেইনারটি খুললে তা’ পুরোপুরি খালি পাওয়া যায়। সেসময় অপর কনটেইনারটি না খুলেই পণ্য চালানের ওজন নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরিমাপ করলে নিট ওজন ‘শূন্য’ দেখা যায়। আমদানিকারক মেসার্স জিম অ্যান্ড জেসি কম্পোজিট লিমিটেডের সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার শাহিন রেজা মিজান জানান, ওই চালানে চীন থেকে আমদানিকৃত ৫৬ হাজার ৫৬০ কেজি পলেস্টার ফেব্রিক্স কাপড় ছিল। যা দিয়ে গার্মেন্ট পণ্য তৈরি করা হয়। কিন্তু ওই কনটেইনারে কোনো মালামাল পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ২৬ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরে জিডি করা হয়েছে (নম্বর-১০৫৮)।

সিএনএফ এজেন্ট দি মেরিনার্স ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি কনটেইনারের কায়িক পরীক্ষণের জন্য কাস্টমস বরাবর আবেদন করলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই কনটেইনারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আবেদনের পর কাস্টমস কর্মকর্তা ও বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কনটেইনার খুললে তা শূন্য পাওয়া যায়। এ বিষয়ে মোংলা বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ওই কনটেইনার দুটি লোডিং পোর্ট চীন থেকে সিলগালা করা হয়েছে। তালাবদ্ধভাবেই তা জাহাজ থেকে বন্দরে  নামানো হয়। পরে কাস্টমস ও সিএনএফ এজেন্টদের উপস্থিতিতে কনটেইনারের সিল মিলিয়ে দেখে তারপর খোলা হয়। কিন্তু ভিতরে কোনো পণ্য ছিল না। তদন্ত না করে পরিষ্কার করে কিছু বলা যাবে না। এদিকে কনটেইনারে পণ্য না থাকার বিষয়ে এরই মধ্যে কাস্টমস তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর