রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন

আলোচনার কেন্দ্রে কাউন্সিলর পদ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) শীর্ষ পদটি মেয়রের। এরপর আছে কাউন্সিলর পদ। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের আগ্রহের  কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে মেয়র পদটির দিকেই। কিন্তু এবার আসন্ন চসিক নির্বাচনে হয়েছে তার উল্টো। নগরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে এবং আগ্রহের  প্রধান অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে কাউন্সিলর পদটি। জানা যায়, আসন্ন চসিক নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল- আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মেয়র পদে বিতর্কহীনভাবে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এ নিয়ে কোথাও কোনো সমালোচনা, বিদ্রোহী প্রার্থী কিংবা কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে বর্তমানে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা, আছে বিদ্রোহী প্রার্থী এবং দল থেকে পদত্যাগের ঘটনাও।     

 দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ৪০৬ জন। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে  দলীয় সমর্থন বঞ্চিত হন বর্তমান ১৩ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ৫ জন। এ নিয়ে দলের মধ্যে চরম বিদ্রোহী-বিতর্ক দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বিকালে ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর সাবের আহমেদ এবং দলের মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে গতকাল সাবের আহমেদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়।

নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৫ মার্চ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রাম নগরের সিনিয়র নেতারা বৈঠক করবেন। আশা করছি, দলের স্বার্থে সবাই  সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।’

অন্যদিকে, বিএনপি ৪১ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মনোনয়ন দিলেও আছে বিদ্রোহী প্রার্থীও। কিন্তু নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় ২৪ ফেব্রুয়ারি ৩০০ নেতাকর্মী নিয়ে পদত্যাগ করেছেন নগর  যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক বাদশাহ। বাদশাহ নগরের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী প্রত্যাশি ছিলেন। এ ওয়ার্ডে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় একেএম আরিফুল ইসলামকে।

নগর বিএনপির সহদফতর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘কয়েকটি ওয়ার্ডে কিছু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। শীঘ্রই এসব নিরসন হয়ে যাবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর