আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শুধু পাপিয়া নয়, অপকর্ম, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের সঙ্গে যারাই জড়িত তারা নজরদারিতে আছে। পাপিয়াদের পেছনে যারা আছেন তারাও নজরদারির বাইরে নন। টার্গেট পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। গতকাল সকালে ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের যে প্রান্তেই হোক, অপকর্ম, সন্ত্রাস, দুর্নীতি,   জঙ্গিবাদ ও মাদকের সঙ্গে দলের লোকজনও যদি জড়িত থাকে তারাও রেহাই পাবে না। তারা নজরদারিতে চলে এসেছে। থেমে থেমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া এসব অপকর্মের পেছনে যারা কলকাঠি নাড়ছে তারাও রেহাই পাবে না। বিএনপির বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ বিক্ষোভ কোনো রাজনৈতিক দল বা ওই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নয়। বিএনপি আদালতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়নি বলেই তারা এ কর্মসূচি পালন করছে। এটা আদালতের বিরুদ্ধে অঘোষিত একটা কর্মসূচি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতেই কিছুটা দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকার বিদ্যুতে যেমন ভর্তুকি দিচ্ছে, পানিতেও সেরকম ভর্তুকি দেওয়া লাগছে। তবে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে কৃষকের ভর্তুকি কম ধরা হয়েছে। মুজিববর্ষে আমরা শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। প্রত্যেক ঘরে আমরা বিদু্যুতের আলো জ্বালাতে চাই। সামনে গরমের সিজন, লোকজন যেন কষ্ট না পায় সেজন্য আমরা বিদ্যুৎব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন করতে চাই। একটু কষ্ট হলেও জনগণ এর সুবিধা পাবে।

চীনে করোনাভাইরাসের কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রায় এক হাজারের মতো চীনা নাগরিক পদ্মা সেতুতে কাজ করেন। এখান থেকে ১৫০ জন ছুটিতে দেশে গেছেন। যদি দুই মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো উন্নতি না হয় তাহলে পদ্মা সেতুর কাজে সামান্য বিঘœ ঘটবে। পদ্মা সেতুর কাজ থেমে থাকবে না। কয়েকদিন আগেও ২৫তম স্প্যান বসানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরেকটি স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে। তারা যদি ছুটি থেকে না আসতে পারে তাহলে কাজের কিছুটা সমস্যা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর এবং উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।