রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

সপ্তাহের দরপতনে ১৬ হাজার কোটি টাকা মূলধন হ্রাস

আলী রিয়াজ

সপ্তাহের দরপতনে ১৬ হাজার কোটি টাকা মূলধন হ্রাস

আগের সপ্তাহের শেষদিনে শুরু হয় দরপতন। সেই রেশ ধরে গত সপ্তাহের পাঁচ দিনই দরপতন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এক সপ্তাহের দরপতনের কারণে বাজার থেকে মূলধন কমেছে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূলধন কমার পাশাপাশি সপ্তাহজুড়ে কমেছে সবকটি মূল্য সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ। জানা গেছে, সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮০টির। ১২টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় সপ্তাহের শেষে এসে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪২ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত ছিল তিন লাখ ৫৯ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১৬ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৫২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৬৮ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সবকটি সূচকের এমন পতনের মধ্যে ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ৯০০ কোটি টাকার ঘর থেকে ৬০০ কোটিতে নেমে এসেছে।

 গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬১৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৯০৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২৮৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বা ৩১ দশমিক ৭২ শতাংশ। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৮৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় চার হাজার ৫২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে এক হাজার ৪৩৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ৭৬ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। দরপতনের এই সময়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। রসায়ন ও ফার্মা খাতের কোম্পানি দুটি হলো-সেন্ট্রাল ফার্মা ও ফার কেমিক্যাল লিমিটেড। দুই সপ্তাহের ৯ দিনে সেন্ট্রাল ফার্মার দর বেড়েছে ৬২ শতাংশ এবং ফার কেমিক্যালের দর বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সেন্ট্রাল ফার্মার দর ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা। টানা ৯ কার্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ারদরে তেজিভাব ছিল। ২৭ ফেব্রুয়ারি শেয়ারটির ক্লোজিং দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ফার কেমিক্যালের শেয়ারদর ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা। টানা ৯ দিনে কোম্পানিটির শেয়ারদরে তেজিভাব ছিল। ২৭ ফেব্রুয়ারি শেয়ারটির দর বেড়ে দাঁড়ায় ১১ টাকা ২০ পয়সায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর