সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

বড় দরপতন শেয়ারবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বড় দরপতন শেয়ারবাজারে

উত্থান ধরে রাখতে পারছে না শেয়ারবাজার। চলতি সপ্তাহের লেনদেন শুরু হয়েছে বড় দরপতন দিয়ে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৭০ পয়েন্টেরও বেশি। এ নিয়ে টানা ৭ কার্যদিবস পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে।

লেনদেন শেষে গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছ ৪ হাজার ৪১০ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৪৫৬ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ১০৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা কম। ডিএসইতে ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের  শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬টির  শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২৮৯টির এবং ২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার   লেনদেন হয়েছে ভিএফএস থ্রেড ডায়িংয়ের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১  কোটি ১৩ লাখ টাকার ফার কেমিক্যালের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১  কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার। ডিএসইতে টপটেন লেনদেনে থাকা অপর কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- লাফার্জহোলসিম, কনফিডেন্স সিমেন্ট, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা এবং  সেন্ট্রাল ফার্মা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫১৯ পয়েন্টে। সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ১৯৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দর। সিএসইতে ১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ওয়ালটনের মূল্য নির্ধারণের নিলাম শুরু আজ : ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করবে। এ লক্ষ্যে ওয়ালটনের আইপিও শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য বা কাট অব প্রাইস নির্ধারণ শুরু হচ্ছে আজ বিকাল ৫টা থেকে। চলবে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত। ইলেকট্র্রনিক সাবক্রিপশন সিস্টেম ব্যবহার করে আজ বিকাল ৫টা থেকে ৫ মার্চ বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিডিং হবে। বিডিংয়ের মাধ্যমে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির কাট অব প্রাইস নির্ধারণ করবেন। এরপর কাট অব প্রাইসের ১০ শতাংশ হ্রাসকৃত মূল্যে লটারির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে শেয়ার ইস্যু করা হবে। পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে ওয়ালটন। এ অর্থ ওয়ালটনের কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও মানোন্নয়ন, ব্যাংক লোনের আংশিক দায় পরিশোধ এবং আইপিও খরচ সংকুলানে ব্যয় হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর