মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

‘জামদানি বাংলাদেশের বিশ্বনন্দিত ঐতিহ্য’ গ্রন্থের প্রকাশনা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

‘জামদানি বাংলাদেশের বিশ্বনন্দিত ঐতিহ্য’ গ্রন্থের প্রকাশনা

বাংলাদেশের জামদানি শিল্প ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশের গর্বের এ মাধ্যমটি নিয়ে ‘জামদানি বাংলাদেশের বিশ্বনন্দিত ঐতিহ্য’ শিরোনামে গ্রন্থ রচনা করেছেন লোক ও কারুশিল্প অনুরাগী মালেকা খান। গ্রন্থটিতে জামদানির বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এর অনন্য ইতিহাস। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে পাক্ষিক অনন্যা। গতকাল জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও অধ্যাপক ড. রওনক জাহান। কে এম খালিদ বলেন, জামদানি বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে মালেকা খানের সচিত্র গ্রন্থটি অনেক ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও জামদানি-প্রেমিক। তাই জামদানির উন্নয়ন ও প্রসারে সরকারের বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রন্থটি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রসহ ৭৭টি মিশনের সংগ্রহে রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বইটির লেখক মালেকা খান বলেন, তাঁতিদের কারণেই জামদানি আজ ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু তাঁতিরা খুবই মানবেতর-জীবন যাপন করছেন। তাঁতি অর্থাৎ জামদানি শিল্পীরা না টিকে থাকলে শিল্পটিও টিকে থাকবে না। তাঁতিদের জীবনমানের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

বাঁধভাঙা উল্লাসে শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা : আনন্দ আর আবেগের সব মাত্রা যখন ছাড়িয়ে যায় তখন বাঁধভাঙা উল্লাসে হারিয়ে যায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। নিয়মের বেড়াজাল ছিন্ন করে নাচে, গানে আনন্দ আয়োজনে মত্ত হয়ে ওঠে তারা। এমন চিত্রই ছিল ‘ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিকস’-এর নবীনবরণের আয়োজনে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ নবীনবরণে শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েন। সেই সঙ্গে ছিল নাচ, গান, ফ্যাশন শোসহ নানা আয়োজন। এর আগে আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইমদাদুল হক। অধ্যাপক মাহফুজা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিক্ষক শাহীন আহমেদ ও সুরাইয়া বেগম, অনুষ্ঠানের আহ্‌বায়ক নাইমুন্নাহার। স্বাগত বক্তৃতা করেন কলেজের অধ্যক্ষ নুরুন্নাহার বেগম।

মুক্তিযুদ্ধ ও নৈসর্গিক বাংলাদেশ প্রদর্শনী শুরু : মুক্তিযুদ্ধ ও প্রকৃতিকে শিল্পের রূপ দিলেন শিল্পী আকতার মাহমুদ কাজল। মুক্তিযুদ্ধ ও প্রকৃতির এমন কিছু শিল্পকর্ম নিয়েই শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও নৈসর্গিক বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রদর্শনী। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় এর উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমরজিৎ রায়চৌধুরী। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকল শ্রেণির দর্শকের জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনীটি শেষ হবে ১১ মার্চ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর