দেশের সব আইনজীবী সমিতি ও আইনাঙ্গনে দালাল, ভুয়া আইনজীবী, মধ্যস্থতাকারীদের তৎপরতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনারস অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২-এর ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিয়ে বার কাউন্সিলের সচিবকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গতকাল এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। রিট আবেদনকারী আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া নিজেই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ দেশের সব আইনজীবী সমিতি, আইনাঙ্গনে টাউট, দালাল, ভুয়া আইনজীবী, ভুয়া আইনজীবী সহকারী, মধ্যস্থতাকারীদের দৌরাত্ম্য, তৎপরতা বন্ধ এবং এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ২ ডিসেম্বর বার কাউন্সিল সচিবের কাছে আবেদন করেন এ আইনজীবী। সে আবেদনে বার কাউন্সিল সাড়া না দেওয়ায় ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট করেন ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, দেশের সব আইনজীবী সমিতি, এমনকি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে যারা মামলা রিসিভ করার জন্য অন্তর্ভুক্ত নন, তারা বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে মামলা রিসিভ করে তাদের হয়রানি করছেন, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এতে আইনজীবী সমিতি ও আইনজীবীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এমনকি তারা জাল, ভুয়া নথি তৈরি করে আদেশ, এমনকি রায়ও তৈরি করে দিচ্ছেন।
এর ফলে বিচার বিভাগের মর্যাদাও বিনষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
