মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
জেএসডির আলোচনা সভা

পতাকা উত্তোলন দিবস ২ মার্চ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান সরকারকে ‘দানব’ অভিহিত করে বলেছেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দানব সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি ‘২ মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস’ উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা দিবসটি জাতীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়ে বলেন, ডাকসুর ভিপি প্রথম পতাকা তুলেছিলেন, সেই পতাকা আর নামেনি। রাজনীতিতে দলমতের পার্থক্য থাকবে। কিন্তু স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনের দিনটি জাতীয়ভাবে পালন করতে হবে। জেএসডির কার্যকরী সভাপতি আনিসুর রহমান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, গণসংহতির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর প্রমুখ। মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমন এক সময় বাংলাদেশে আসছেন, যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভারতে অবস্থানকালে দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বহু লোক নিহত হয়েছে। আর দাঙ্গায় মোদির দল বিজেপি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সে সময়ে তার বাংলাদেশে আসাটা কতটা শোভনীয় হচ্ছে তা তার ভেবে দেখা উচিত।

আ স ম রব ম্মৃতিচারণ করে বলেন, ’৭১ সালে এক হাজার কামান, বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের পতাকা আমিই প্রথম উত্তোলন করেছিলাম। সেদিন রাতে বঙ্গবন্ধু আমাকে ডেকে বলেছিলেন, রব, দিস ইজ ঠু আরলি, অর্থাৎ পতাকা তাড়াতাড়ি ওঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু এখন আমাদের স্বীকার করা হয় না। মনগড়া বিকৃত ইতিহাস জাতির সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলীয় শাসন কায়েম করা হচ্ছে। এভাবে ইতিহাস বিকৃতি মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মানের শামিল। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশে যেভাবে মুজিব শতবর্ষ পালন করা হচ্ছে তাতে মানুষের মনে কোনো স্থান পাচ্ছে না। শুধু পত্রিকা, টিভিতে স্থান পাচ্ছে। লাল সবুজের পতাকায় ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজদের দেখা যায়। দেখা যায় না আ স ম রব, সিরাজুল আলম খান, তোফায়েল আহমেদ, নূরে আলম সিদ্দিকী, আবদুল কুদ্দুস মাখনদের। আগামী বছর থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পতাকা উত্তোলন দিবস পালনের দাবি জানান তিনি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঢাবিতে পতাকা উত্তোলনের দিনে এক সভায় আবদুর রবের নামও নেওয়া হয়নি। সেখানে শুধু বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা হয়েছে। হয়তো এক দিন দেখা যাবে কেউ বলছে, বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এরা আসলে আমাদের পতাকা খামচে ধরেছে। তারা বেগম খালেদা জিয়া, আ স ম রব, কাদের সিদ্দিকী ছাড়াই মুজিববর্ষ পালন করতে চায়। তারা শুধু নরেন্দ্র মোদিকে চায়। কারণ, তারা জানে মোদি ছাড়া তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার নরেন্দ্র মোদিকে আনতে চাচ্ছে। কিন্তু তার আগে মোদিকে ফেলানী হত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। তাকে পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। এসব না করা মোদিকে মুজিববর্ষে আনা হলে শেখ মুজিবুর রহমান কবরে থেকেও কাঁদবেন।

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, সাম্প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদিকে বাংলার মাটিতে আসতে দেওয়া হবে না। তাকে ছাত্র সমাজ প্রতিহত করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর