খুলনার সরকারি হাসপাতালগুলোতে অনেক চিকিৎসকই আসেন নিজেদের ইচ্ছামতো। সকাল ৮টায় হাজিরা থাকলেও তারা সাড়ে ১০টা, ১১টার পরে হাসপাতালে আসেন। গতকাল খুলনার শেখ আবু নাসের হাসপাতালে দেরি করে আসায় প্রতিরোধের মুখে পড়েন ইউরোলজি বিভাগের ডা. জাহিদ হোসেন। এ ঘটনায় হাসপাতালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা যায়, খুলনার তেরখাদা এলাকার জরুরি এক রোগীর ‘পোস্টেট অপারেশন’ হওয়ার কথা ছিল সকাল ৮টায়। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টায়ও নির্ধারিত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন হাসপাতালে না আসায় অপেক্ষারত রোগীর স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। বিক্ষুব্ধরা হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। ওই সময় হাসপাতাল থেকে জাহিদ হোসেনকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ না করে বন্ধ করে রাখেন। পরে সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে এসে ওই রোগীর অপারেশন করেন জাহিদ হোসেন। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র গোস্বামী বলেন, হাসপাতালে অনাকাক্সিক্ষত এ বিক্ষোভের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। কারা এই ঘটনা ঘটাল এবং কেন ওই চিকিৎসক দেরি করে এসেছেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, খুলনায় আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকরা নিজেদের খেয়াল খুশিমতো অবস্থান করেন। ডিজিটাল হাজিরা মেশিনে অনেকে আঙ্গুলের ছাপ দিয়েই ব্যক্তিগত কাজে বেরিয়ে পড়েন। খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম আরা নাজনীন বলেন, চিকিৎসকের হাজিরার বিষয়টি নিয়মিত ফলোআপ করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনে উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ায় তা স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকেও মনিটরিং করা হয়।