বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

চীনাদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা চালু করা হোক

-------- রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

নবেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কিছু কর্মকর্তা এই রোগের উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশে আটকা পড়েছেন। পাশাপাশি চীনের কিছু প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম বন্ধ রাখায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তাই এখন এসব প্রকল্পের কাজে গতি আনতে চীনের নাগরিকদের জন্য ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি গতকাল কেরানীগঞ্জে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে ১৪ থেকে ১৫ হাজার চীনা নাগরিক কাজ করছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ এখন চীনে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কিছু কর্মকর্তা হুবেই প্রদেশে আটকা পড়েছেন। চীনের কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে না। তবে দুই দেশের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব মন্তব্য করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা বড় প্রকল্পগুলোর কাজের ধারাবাহিকতায় করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব হ্রাসে কয়েকটি সুপারিশ করেন। বড় প্রকল্পগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত চীনা কর্মকর্তাদের ভিসার গ্রিন চ্যানেল তৈরি এবং প্রকল্পের সরঞ্জাম আনতে কাস্টমস প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর কথা বলেন তারা। রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

রাষ্ট্রদূত বলেন, রোগটি ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল যৌক্তিক ও সুন্দর। অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধের সময় বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম। কারণ নিরাপত্তাই বাংলাদেশের প্রথম অগ্রাধিকার। কিন্তু এখন পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। চীন সফলতার সঙ্গে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশে চলমান প্রকল্পগুলোর গতিশীলতা ঠিক রাখতে চীনের নাগরিকদের আসা প্রয়োজন। এ কারণে বাংলাদেশ তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারে।

গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে যে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল, তা এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু হয়েছে তিন হাজারের মতো। এদের অধিকাংশই চীনের নাগরিক হলেও এ রোগটি এরই মধ্যে বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে। ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ সুবিধার আওতায় চীনা নাগরিকরা এতদিন বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দরে নেমেই ভিসা নিতে পারতেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ওই ভিসা সুবিধা স্থগিতের কথা তুলে ধরেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর