শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
জ্বালানি সেক্টরে নতুন সম্ভাবনা

প্রতিদিন গ্রিডে যাবে ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রতিদিন গ্রিডে যাবে ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

দেশের জ¦ালানি সেক্টরে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একটি নতুন কূপ থেকে মিলেছে প্রাকৃতিক গ্যাস। প্রতিদিন অন্তত ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে। আগামী এক মাসের মধ্যে পাইপের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে এ গ্যাস সরবরাহ করা হবে। মঙ্গলবার শ্রীকাইল পূর্ব জোনের অধীনস্থ এ উৎপাদন কূপের প্রাথমিক পরীক্ষণ কাজ শুরু হয়। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ পরীক্ষণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষণের পর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করা যাবে। উৎপাদন কূপের পাইপ ৩ হাজার ৪৮২ মিটার মাটির তলদেশে যাওয়ার কথা থাকলেও ৩ হাজার ৫৪ থেকে ৮২ মিটার তলদেশ থেকে গ্যাস উত্তোলন সম্ভব বলে একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, এ গ্যাসক্ষেত্রের একটি জোনই রয়েছে। ইতিপূর্বে থ্রি-ডি ও টু-ডি সার্ভে গ্যাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এর পরই সরকারের রূপকল্পের আওতায় গত বছরের ২৫ অক্টোবর এ অনুসন্ধানী কূপ খননকাজ শুরু হয়। ৩১ জানুয়ারি খননকাজ শেষ হয়। নব আবিষ্কৃত এই গ্যাসক্ষেত্রটি টু-ডি ও থ্রি-ডি সাইসমিক সার্ভের ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক কার্যক্রম চালানো হয়।

একজন ভূ-তত্ত¡বিদ জানিয়েছেন, দেশের অন্যতম গ্যাস ভান্ডার হবে এ গ্যাসক্ষেত্রটি। ইতিমধ্যে খননকাজও শেষ করেছে বাপেক্স। সরকারের রূপকল্প-১ এর আওতায় ২টি অনুসন্ধান কূপ খননকাজ শুরু হয়েছে। বাপেক্স নিজস্ব জনবল ও রিগ দিয়ে এ কাজটি শুরু করে। প্রকল্প পরিচালক ও প্রকৌশলী সৈয়দ মো. কবির বলেন, গ্যাস ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের প্রায় ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। এখন পর্যন্ত ১২১ কোটি টাকা খরচ হয়।

একটি সূত্র জানায়, শ্রীকাইল ইস্ট ওয়ান-এর গ্যাস বুধবার রাতে ফ্লো দেওয়া হলে ২০০০ পিএসআই ওঠে। বর্তমানে ২১০০ আছে পিএসআই। ২৮৩৮ পিএসআই (সাটইন) ছিল। ফ্লোং প্রেসার ১৮৬৮ পিএসআই। দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, আরও দুই দিন পর নিশ্চিত করা যাবে কত মিলিয়ন গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেওয়া যাবে। প্রায় ২.০৩ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এ অনুসন্ধানী কূপের খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে গ্যাস গেদারিং করে প্রসেস প্লান্টের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে দেওয়া যাবে। ভ্যার্টিকাল (খাড়াখাড়ি) পদ্ধতিতে মাটির গভীরে ড্রিলিং পাইপ বসানো হয়। ইতিমধ্যে লগিং কাজ শেষ হয়েছে। লগিংয়ের মাধ্যমে মাটির তলদেশে বিশেষ ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে মাটির স্তরের অবকাঠামো ও সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরই ক্যাচিং পাইপ স্থাপনসহ পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ওয়্যার লাইন লগিংয়ের মাধ্যমে ডিএসপি টেস্টিং করে গ্যাস জোনের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। ১০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করেই গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর