চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আগামী ১১ মার্চ সারা দেশের মহানগর ও জেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গতকাল গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লন্ডন থেকে স্কাইপেতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে মহাসচিবসহ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে না। করোনাভাইরাসের অসুখটি সারা পৃথিবীতেই মানুষের শুধু ক্ষতি করছে তা নয়, এটা অর্থনীতির ওপরে প্রচ- রকমের প্রভাব ফেলছে। এ কারণে সরকারের এ বিষয়ে কিছুটা বলা যেতে পারে যে তাদের (সরকার) আগ্রহ কম। ব্যস্ত তো হয়ে আছে মুজিববর্ষ নিয়ে। অন্য বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি সময় দিতে পারছে না তারা। ফলে এখানে এই ভাইরাসটা ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট রকমের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফখরুল বলেন, আমরা আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, করোনাভাইরাস নিয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা লিফলেট ছাড়ব, জনগণের কাছে পৌঁছাব। ড্যাবসহ অঙ্গসংগঠনগুলো এ বিষয়ে কাজ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সরকার দাবি করছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। কিন্তু আইইডিসিআর-এর পরিচালক (মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা) বলেছেন যে, যেকোনো মুহূর্তেই বাংলাদেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
