সিলেটে প্রতারক চক্রের অপহরণ নাটকে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে অভিভাবক মহলে। স্কুলে থাকা শিশুদের অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে অভিভাবকদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে চক্রটি আদায় করে নিচ্ছে টাকা। ফোনের লাইন না কেটে দোকানে গিয়ে বিকাশ করে টাকা পাঠাতে বাধ্য করা হচ্ছে অভিভাবকদের। কিন্তু টাকা পাঠানোর পর খবর নিয়ে জানতে পারছেন তার বাচ্চা দিব্যি স্কুলেই আছে। গত কয়েক মাসে সিলেটে এরকম বেশ কয়েকটি প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। আর জনসচেতনতা ছাড়া এরকম প্রতারণা বন্ধ করা সম্ভব নয়, বলছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তার কাছে ০১৬৪২৯৭৩৫৭২ এই নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনে জানানো হয় নগরীর সুবিদবাজারস্থ আনন্দ নিকেতন স্কুলে প্রথম শ্রেণি পড়–য়া তার বাচ্চাকে অপহরণ করা হয়েছে। বাচ্চাকে ফিরে পেতে হলে মুক্তিপণ দিতে হবে ৬০ হাজার টাকা। ফোনে ওই কর্মকর্তা তার বাচ্চার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে প্রতারকরা একটি বাচ্চার কণ্ঠ শোনায়। পরে সাহস করে তিনি ঘটনাটি জানান তার স্বামীকে। স্বামী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার ছেলে স্কুলেই আছে, ক্লাস করছে। মাস কয়েক আগে একইভাবে এমসি কলেজের এক অধ্যাপকের কাছ থেকে স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে অপহরণের কথা বলে বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। ফোনের লাইন কেটে না দিয়ে দোকানে গিয়ে বিকাশ করতে বলা হয়েছিল ওই অধ্যাপককে। পরে তিনি কলেজের পাশ্র্ববর্তী একটি দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করেন। পরে জানতে পারেন তার ছেলে স্কুলেই আছে। তবে প্রতারক চক্রের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জেদান আল মুসা। কোনো অভিভাবককে ফোন করলে নিকটস্থ থানা পুলিশ বা ‘৯৯৯’ নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
