মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
চসিক নির্বাচন

কাউন্সিলর প্রার্থীদের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী স্বশিক্ষিত

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর বেশির ভাগই ব্যবসায়ী। শিক্ষাগত যোগ্যতায় বড় অংশ হচ্ছে স্বশিক্ষিত ও সাক্ষর। সংরক্ষিত (মহিলা) কাউন্সিলর পদেও রয়েছেন একাধিক স্বশিক্ষিত ও সাক্ষর। তবে পিএইচডি ডিগ্রিধারী, চিকিৎসকও লড়ছেন কাউন্সিলর পদে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে সর্বশেষ ১৬১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৯০ জনই ব্যবসায়ী। এবার নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৫৬ জন। এর মধ্যে ১১ জন স্বশিক্ষিত, আটজন সাক্ষর। রয়েছেন এমফিল ডিগ্রিধারীও। চসিকের নির্বাচনে দাখিল করা সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রার্থীর হলফনামা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়। হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নগরের ৪১ সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছেন ১৬১ জন। এর মধ্যে ৯০ জনের পেশা হচ্ছে ব্যবসা। এ ছাড়া রয়েছেন ঠিকাদার, কমিশন এজেন্ট, বাড়িভাড়া থেকে আয় করা ব্যক্তিও। সাধারণ ওয়ার্ডের প্রার্থীর মধ্যে স্বশিক্ষিত ও সাক্ষর বেশি। স্নাতক ডিগ্রিধারীও রয়েছেন। তবে রাজনীতি, সমাজকর্মী, শিক্ষক-চিকিৎসক পেশার সংখ্যা কমছে। ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ শিক্ষাগত যোগ্যতা পিএইচডি লিখেছেন। এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক রয়েছেন একজন। তিনি হচ্ছেন ১ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের প্রার্থী ডা. মো. নিয়াজ মোরশেদ। নারী কাউন্সিলর : সংরক্ষিত ১৪ ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জন স্বশিক্ষিত ও আটজন সাক্ষর। রয়েছেন এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও এমফিল ডিগ্রিধারী প্রার্থীও। সংরক্ষিত ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বিবি মরিয়ম শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেছেন এমফিল (অর্থনীতি)। আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক। ৫৬ নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জনই গৃহিণী। নারীদের মধ্যেও ব্যবসায়ী প্রার্থী কম নয়। রয়েছেন ঘর ভাড়া থেকে আয় দেখিয়ে প্রার্থী, সমাজকর্মী, অন্যান্য পেশাজীবী। তবে নারী প্রার্থীর অনেকেই পেশা উল্লেখ করেননি হলফনামায়। প্রসঙ্গত, এবার সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন, সংরক্ষিত (মহিলা) কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬১ জন নির্বাচন করছেন। ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচন হবে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ তারিখ ছিল ১ মার্চ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৮ মার্চ। গতকাল প্রতীক বরাদ্দ শেষেই প্রচার-প্রচারণা শুরু। এখানে ভোট গ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর