মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

কর্মজীবী নারীর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি মূল চ্যালেঞ্জ

-------- ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্থিকভাবে সচ্ছল হলে পরিবারের ভিতরে এবং বাইরে নারীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয়। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের ক্ষেত্রেও তার অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। বর্তমানে নারীরা নিজেই ঠিক করছেন তারা কোন পেশায় কাজ করবেন এবং নিজ পেশায় তারা সফলও হচ্ছেন। একেই বলে নারীর ক্ষমতায়ন। তিনি বলেন, বর্তমানে কর্মজীবী নারীর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এখনো

কর্মজীবী নারীর সন্তানদের জন্য দেশে পর্যাপ্ত দিবাযতœ কেন্দ্র নেই। এজন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল রাজধানীতে এক সেমিনারে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা আওয়ামী লীগ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ : শেখ হাসিনার অবদান’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি। সভাপতিত্ব করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে গভীরভাবে নারী উন্নয়ন ও সমতায় বিশ্বাসী ছিলেন তা ’৭২-এর সংবিধানে প্রতিফলিত হয়েছে। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৫০ জন নারী দায়িত্ব পালন করছেন। আমাদের সংবিধানে সরাসরি নারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। বর্তমানে সংসদের ৭২ জন নারী সংসদ সদস্য। এ ছাড়া সংসদের নেতা, বিরোধী নেতা, সংসদ উপনেতা এবং স্পিকার সবাই নারী। এমন অনন্য দৃষ্টান্ত বিশ্বের আর কোথাও আছে বলে জানা নেই।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বর্তমানে একজন নারীকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন। নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এমন কোনো কাজ আপনারা করবেন না যাতে প্রধানমন্ত্রীর সুনাম নষ্ট হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর