বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
পিপলস লিজিং প্রসঙ্গে হাই কোর্ট

২০০৪ সালের পরের সব পরিচালকের তালিকা দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডে ২০০৪ সালের পর থেকে দায়িত্ব পালনকারী সব পরিচালকের নামের তালিকা চেয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আগামীকাল তাদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা দাখিল করতে বলা  হয়েছে আদেশে। পিপলস লিজিংয়ের অবসায়ক হিসেবে নিযুক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমানকে আদালত এ নির্দেশ দেয়। পরে আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, আদালত ওই কোম্পানির তথ্য-উপাত্ত জানার পর ওই প্রতিষ্ঠানের ২০০৪ সালের পর থেকে যারা পরিচালক ছিলেন তাদের একটা তালিকা চেয়েছে। ওই তালিকা পাওয়ার পর কোর্ট একটা তারিখ ঠিক করবে। সম্ভবত কোর্ট তাদের বক্তব্য জানার জন্য ডাকবে। পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নে ‘দি ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট অ্যাক্ট, ১৯৯৩-এর ২৯ ধারায় হাই কোর্টে আবেদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তার আগে নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও পরিচালকদের অর্থ আত্মসাতের কারণে আমানতকারীদের অর্থ ফেরতে ব্যর্থতায় গত বছরের ২১ মে পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২৬ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটির দুই হাজার কোটি টাকার আমানত রয়েছে। এর মধ্যে ব্যক্তি গ্রাহকের ৭০০ কোটি টাকা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। পিপলস লিজিং ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে, যার মধ্যে ৭৪৮ কোটি টাকা খেলাপি। খেলাপি ঋণের মধ্যে ৫৭০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকরা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ১১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক পিপলস লিজিং থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরবর্তীতে গত ১৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খানকে অবসায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে গত বছরের ১৫ জুলাই অবসায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (পিএলএফএসএল) সাবেক ৯ পরিচালকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল হাই কোর্ট। যা পরে আপিল বিভাগেও বহাল থাকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর