শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন

টেনশনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীরা!

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

টেনশনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীরা!

দফায় দফায় বৈঠক এবং দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে আওয়ামী লীগের আলোচিত ও বিতর্কিত বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতাও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। ফলে টেনশন বা আতঙ্কে রয়েছেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত নানাভাবে প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হলেও বিদ্রোহীরা ‘অনড়’ রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্রোহীরা যতই আলোচিত-সমালোচিত হোক না কেন, নির্বাচনী মাঠের খেলোয়াড় হিসেবে শক্ত প্রার্থী। নানাভাবে বিতর্কিত বা দলের মনোনয়নপত্র না পেলেও এলাকায় তাদের রয়েছে গ্রহণযোগ্যতা। বিদ্রোহী একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী বললেন, এলাকাবাসীর চাপের মুখেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন এবং এলাকাবাসীরাই তাদের মূল্যায়ন করবেন বলে আশাবাদী। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন ১২ বিদ্রোহী সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী। এদের সবাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্তমান কাউন্সিলর। এদের প্রত্যেকের জায়গায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ১২ নতুন মুখ। বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থী ছাড়াও আছেন সাবেক ছাত্র নেতাও। তবে মাত্র দুজন বর্তমান কাউন্সিলর দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন করছেন না। এরা হলেন ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন হিরণ এবং ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন ১২ কাউন্সিলরদের মধ্যে ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলীর তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, ২ নম্বর জালালাবাদের সাহেদ ইকবাল বাবু, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলীর জহুরুল আলম জসীম, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলীর মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, ১২ নম্বর সরাইপাড়ার সাবের আহমেদ, ১৪ নম্বর লালখান বাজারের এফ কবির মানিক, ২৫ নম্বর রামপুরার এস এম এরশাদ উল্লাহ, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদের এইচ এম সোহেল, ২৮ নম্বর পাঠানটুলী আবদুল কাদের (মাছ কাদের), ৩১ নম্বর আলকরণের তারেক সোলায়মান সেলিম, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গীবাজারের হাসান মুরাদ বিপ্লব এবং ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচনী দায়িত্বশীল নেতা বলেন, এটি দলের একটা ভাবমূর্তির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকেও কেউ পাত্তা দেননি। এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। আদৌ হবে কিনা প্রশ্ন। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের কারণে দলের মেয়র ও দলীয় কাউন্সিল প্রার্থীদের জয়ের বিষয়ে বিরাট একটা বাধার সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া দলের কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও বিদ্রোহীদের কারণে টেনশনে বা আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছেন বলে জানান তিনি।

দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব যোগ্য দাবি করে বলেন, কী কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছি? মনোনয়নপ্রাপ্ত অনেকেই আছেন নানাভাবেই বিতর্কিত। তারা কীভাবে মনোনয়ন পান?

১১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে বিদোহী প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী, নির্বাচন করার ব্যাপারে অটল বলে জানান।

কেন্দ্রকে ভুল বুঝিয়ে জনবিচ্ছিন্ন একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এটি সাধারণ মানুষ মেনে নিচ্ছেন না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর