রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

রংপুরের বধ্যভূমিগুলোর সংস্কার কাজ থমকে আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর বিভাগের বধ্যভূমিগুলোর সংস্কার কাজ ৮ বছর ধরে বন্ধ আছে। ২০১২ সালের দিকে বধ্যভূমিগুলো সংস্কারের কাজ শুরু করার পরপরই বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে বরাদ্দ না আসায় অর্থাভাবে রংপুর বিভাগের শতাধিক বধ্যভূমির সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজ আটকে যায়। সংরক্ষণের অভাবে এসব বধ্যভূমি স্মৃতি এখন অযত্ন আর অবহেলায় বিলীন হওয়ার পথে। পুরাতন বধ্যভূমিগুলো সংস্কারের কাজ থমকে থাকলেও রংপুর জেলা নতুনভাবে পাঁচটি বধ্যভূমি চিহ্নিত করে এসব বধ্যভূমি সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করেছে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। জানা গেছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার স্থান তথা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি অমর করে রাখার জন্য এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সরকার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতার রংপুর বিভাগের আট জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রায় ১০৮টি  বধ্যভূমির মধ্যে জরিপ চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করা হয়। এ বধ্যভূমির মধ্যে সরকার মাত্র ৫০টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এসব স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে সরকারের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এ জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে স্থান ও জমি চিহ্নিত করে দেওয়া হয়।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, প্রথম দফায় ২০১২ সালের দিকে কিছু টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে বরাদ্দ না আসায় শুরু হওয়ার পরপরই থমকে গেছে বধ্যভূমি সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজ। ফলে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণের পর এখনো বধ্যভূমি অবহেলায় পড়ে আছে। সূত্র মতে, রংপুরে ৩৯টি, কুড়িগ্রামে ৭৬টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬৮টি, গাইবান্ধায় ৫৫টি, নীলফামারীতে ৫৪টি, লালমনিরহাটে ৪২টি, দিনাজপুরে ৪০টি এবং পঞ্চগড় জেলায় ২১টি বধ্যভূমি চিহ্নিত করা হয়। তথ্যানুসারে রংপুর বিভাগে সর্বমোট ৩৯৫টি গণহত্যা হয়েছে। এ গণহত্যার স্থানগুলোতে বা তার আশপাশে গণকবর ও বধ্যভূমি গড়ে উঠেছিল।

রংপুর গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল আলম জানান, বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন থেকে কোনো বরাদ্দ নেই। কবে নাগাদ বরাদ্দ আসবে এটাও বলা যাচ্ছে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর