সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন

বিধিতে আটকে রেজাউলের প্রচারণা শাহাদাতের পাশে কেন্দ্রীয় নেতারা

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

বিধিতে আটকে রেজাউলের প্রচারণা শাহাদাতের পাশে কেন্দ্রীয় নেতারা

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতাদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন রেজাউল করিম চৌধুরী। কমিটির চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সদস্য সচিব পর্যন্ত বেশিরভাগ কর্মকর্তাই কোনো না কোনো সরকারি দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে নির্বাচন কমিশনের বিধি মানতে গিয়ে তারা নিজদলীয় প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি গণসংযোগ কিংবা প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না। ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কমিটির কর্মকর্তারা প্রচারণায় নামতে গিয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। আবার দলে রাষ্ট্রীয় বা সরকারি দায়িত্বের বাইরে অনেক নেতা থাকার পরও কমিটিতে এমন লোকজনকে যুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে। চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. হাসানুজ্জামান জানান, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্য এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদে দায়িত্বে থাকা কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।

এদিকে চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সংসদ সদস্য। আবার সদস্য সচিব আ জ ম নাছির উদ্দীন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলেও তিনি বর্তমান মেয়র। এ ছাড়া কমিটির চারজন কো-চেয়ারম্যানের মধ্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ সংসদ সদস্য এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। ফলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকার পরও তারা প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না। এতে রেজাউল করিম গণসংযোগে পিছিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পক্ষান্তরে, বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের গণসংযোগে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণে যে গণজোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেখানে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হিসেবে রেজাউল করিমের পক্ষে মাঠে সেটি অনুপস্থিত।

আধুনিক নগরী গড়তে  শাহাদাতকে বিজয়ী করুন : আধুনিক, সুন্দর, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নগরী গড়তে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের জন্য ভোট চাইলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। গতকাল পূর্ব, পশ্চিম  ও দক্ষিণ বাকলিয়া এলাকায় ডা. শাহাদাতের পক্ষে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন তারা। গতকাল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল  নোমান ও মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগে বের হন ডা. শাহাদাত।

তারা রাহাত্তর পুল মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করে কেবি আমান আলী রোড, ধুনীর পুল, ডিসি রোড, মিয়ার বাপের মসজিদ, দেওয়ান বাজার, বৌবাজার, মাস্টার পুল, বাদামতল, মুজাহেরুল উলুম মাদ্রাসা সড়ক, চর চাকতাই স্কুল, ময়দার মিল, ইসহাকের পুল, তুলাতলী, কালামিয়া বাজার এলাকায় এসে শেষ করেন। গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর  মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আলম রাজু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াসিন চৌধুরী আসু প্রমুখ।

গণসংযোগকালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তাকে ধানের শীষে  ভোট দিয়ে কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করবেন।

এীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ভোটের দিন সকাল থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। পিছিয়ে থাকা বাকলিয়াবাসীর নাগরিকমান উন্নয়নের জন্য ডা. শাহাদাতের বিকল্প নেই।

ডা. শাহাদাত বলেন, বিএনপি আমলে বাকলিয়া  স্টেডিয়াম ও কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। বিএনপি বাকলিয়ার আইলকে রাস্তায় পরিণত করেছে। বাকলিয়ায় বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দির নির্মাণে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে বৃহত্তর বাকলিয়াবাসীর জন্য চাইল্ড  কেয়ার ও মাতৃসদন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর