মামলার আসামি ও বিতর্কিতদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো, নিবেদিত কর্মীদের বঞ্চিত করে বহিরাগতদের নেতৃত্বে পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে। গত বছরের ৮ নভেম্বর মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তিন মাস পর ২৮ ফেব্রুয়ারি ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশিত হয়। গিয়াস উদ্দিন নূরীকে সভাপতি ও পরিতোষ সরকারকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া দুই ব্যক্তিই এলাকায় নানা কর্মকাণ্ডের জন্য বিতর্কিত। সাধারণ সম্পাদক হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। তারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ায় এলাকায় দলের ভাবমূর্তি মারত্মক ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে অভিযোগ বঞ্চিতদের। অভিযোগ উঠেছে, মধ্যনগরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কর্মী ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রথম সদস্য মোবারক হোসেন, থানা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন, আবদুদ শহীদ আজাদ, আলী হোসেনসহ অনেকেরই জায়গা হয়নি কমিটিতে। ‘একতরফা’ কমিটিতে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সভাপতির চাচাতো ভাই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভাতিজি জামাই সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া সহ-সভাপতি সজল কান্তি সরকার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপক কিরণ তালুকদার, স্বাস্থ্য সম্পাদক বিকাশ আচার্য্য, সদস্য সঞ্জিব তালুকদার টিটু, বাবুল সরকার দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ীভাবে সিলেটে বাস করছেন। এলাকার ভোটার তালিকায়ও তাদের অনেকের নাম নেই। কমিটির সদস্য গলহা গ্রামের ইউপি সদস্য জামাল তালুকদার ইয়াবা মামলায় জেলহাজতে ছিলেন। বর্তমানে জামিনে। সদস্য আবুল কালাম ও দুলাল মিয়া বিভিন্ন মামলার আসামি। কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোকসেদ মিয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে কখনো জড়িত ছিলেন না।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমদের স্ত্রী সাজেদা আহমেদ সদস্য পদ পেয়েছেন।
মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন বলেন, কমিটিতে তৃণমূলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের জায়গা না হওয়ায় নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়েছেন। তাদের বদলে বিতর্কিত, বহিরাগত, নিষ্ক্রিয়রা গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। কমিটি পুনর্গঠন করে ত্যাগীদের স্থান করে দিতে হবে।সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমান বলেন, কমিটিতে নেতা নির্বাচনের জন্য স্থানীয় নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদের ওপর আস্থা রেখে আমরা কমিটি অনুমোদন দিয়েছি। তারপরও কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।