রাজধানীর গুলশান ও বাড্ডায় অভিযান চালিয়ে কোচিং সেন্টারের আড়ালে জাল শিক্ষা সনদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আজিজুর রহমান (২৭), রফিকুল ইসলাম (৩০), শরিফুল ইসলাম (১৮) ও হায়দার আলী (৩০)। শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল সনদ ও সনদ তৈরির সরঞ্জাম জব্ধ করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ বি এম ফাইজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তথ্য ছিল বারিধারা জেনারেল হাসপাতালের ৮ তলার প্রাইভেট স্টাডি একাডেমি নামে একটি প্রতিষ্ঠান ও মেরুল বাড্ডার খ-২১৪/ই নম্বর প্রগতি টাওয়ার নবম তলায় কোচিং সেন্টারের আড়ালে জাল সনদ বিক্রি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক জিয়াউর রহমান। এ তথ্যে বারিধারা জেনারেল হাসপাতালের ৮ তলায় প্রাইভেট স্টাডি একাডেমিতে অভিযান চালানো হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে রাতেই মেরুল বাড্ডার কোচিং সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জিয়াউর রহমান কোচিং বাণিজ্যের আড়ালে খোলামেলাভাবে জাল সনদের ব্যবসা করছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স, মাস্টার্স, ডিগ্রি এবং সব বোর্ডের এসএসসি ও এইচএসসিসহ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ২-৩ মাসের মধ্যে সনদ সরবরাহ করে তারা। এভাবে তারা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথাও স্বীকার করেছে।