মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ আসছে নির্বাচন কমিশন বরাবরে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমসহ ১৫ জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পড়েছে। সর্বশেষ সোমবার পর্যন্ত ৩২টি অভিযোগ জমা পড়েছে ইসি বরাবরে। তবে চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে, অভিযোগের বিষয়ে দায়সারা উত্তর দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীলরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রার্থীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, ইসি চসিক নির্বাচন নিয়ে দায়সারা ভূমিকা পালন করছে। এখানে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে চসিক নির্বাচনটি অন্য নির্বাচনের মতো প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে জানান তারা। চট্টগ্রামের নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া নাগরিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক নছরুল কদির বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে চসিকের নির্বাচনী সভা, দলীয় সভা করেছেন মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীসহ তাঁর দলের মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা। একই সঙ্গে চসিকের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটিও গঠন বিষয়ে সভা হয়েছে সার্কিট হাউসে।

এতে দলের মন্ত্রীসহ এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী নিয়মবহির্ভূত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগে সরকারি সুবিধাভোগীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত থাকা এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধাভোগীদের বিষয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে অনেক অভিযোগের সমাধানও হয়েছে। এটি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে। তাছাড়া মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পোস্টার ছেঁড়া, প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থীদের ওপর হামলা, অস্ত্রসহ মহড়া দেওয়া নানাবিধ অভিযোগ এসেছে। এসব বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বশীল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট ওসিদের বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বরাবরে পক্ষে-বিপক্ষে অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আবদুল্লাহ আল নোমান, নাগরিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক নছরুল কদির, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ ও অন্য আরেকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোরশেদ আকতার চৌধুরীর। তাছাড়া সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী জেসমিন পারভিন জেসি, তছলিমা বেগম নুর জাহান, নীলু নাগ, পুরুষ কাউন্সিলর প্রার্থী কপিল উদ্দিন খান, মোরশেদ আলম, আবুল হাসনাত বেলাল, শৈবাল দাশ সুমন, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, আবদুস সবুর লিটনসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দলীয় পরিচয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। এখানে নির্বাচনী আইনে প্রার্থীর প্রতীক, নাম ও ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না।

সর্বশেষ খবর