চসিক নির্বাচনে গোসাইলডাঙ্গা ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল আলম চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। চেক প্রতারণা মামলায় এক বছরের সাজাও রয়েছে। ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী এসরারুল হক এসরাল। কোনো পদ-পদবি না থাকলেও নিজেকে মহানগর যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই। চকবাজার ওয়ার্ডের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী নুরুল মোস্তফা টিনু। র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারেই আছেন। তিনি কারাগার থেকেই কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে আরও রয়েছেন ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের মো এয়াকুব, ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডে এ এফ কবির মানিক, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জহুরুল আলম জসিম, ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে সাবের আহম্মদ, মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গাবাজার ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থী অনুপ বিশ্বাস, হাসান মুরাদ বিপ্লব, ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে আবদুল কাদের (মাছ কাদের), ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলায়মান সেলিম, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড হাসান মুরাদ বিপ্লব, ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডে মো. সাহেদ ইকবাল বাবু, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদে এইচ এম সোহেল, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডে হাজী মো. জয়নাল আবেদীনসহ আরও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রচার-প্রচারণায় নানা কৌশলে প্রতিপক্ষ দলীয়সহ প্রার্থী ও ভোটারদের ভয়-ভীতি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছেন নানা কৌশলে এমন অভিযোগও আছে। করছেন আচরণবিধি লঙ্ঘনও। প্রতিটি এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সন্ত্রাসী তৎপরতা, আধিপত্য বিস্তারসহ নানাবিধ আশঙ্কা করছেন দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী ও ভোটাররা। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে রীতিমতো এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। দলীয় নির্ভরযোগ্য ও নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবার বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়াদের মধ্যে রয়েছে দখলদার, সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামি, রোহিঙ্গা নাগরিককে জন্মসনদ দেওয়া, মাদক ব্যবসায়ী, টেন্ডারবাজ, কিশোর গ্যাং লিডার, পাহাড়-রাস্তা দখল করে অবৈধ দোকান-বাড়ি নির্মাণকারী, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকারী, জমি দখল, অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অপরাধী। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী তথ্য গোপন করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে যেসব বিদ্রোহীরা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন তাদের তৎপরতা থেকেই মনে হচ্ছে তারা ভোট কেড়ে নিবেন। তাছাড়া এখন থেকেই যেভাবে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হুমকি, ভাঙচুর করা হচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচনের দিন ভোটারদের কেন্দ্রেও আসতে দেবেন না। নানা কৌশলে নিজস্ব বাহিনী দিয়েও তারা মহড়া দিচ্ছে এলাকায়। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিকের রিটার্নিং অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পাচ্ছি, তা তদন্ত চলছে। অনেক তদন্ত রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করলে, সেটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।