বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন

করোনায় সিটি নির্বাচন স্থগিতের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

করোনায় সিটি নির্বাচন স্থগিতের সম্ভাবনা

করোনাভাইরাসের কারণে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে হবে কিনা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। করোনাভাইরাসসহ নানা কারণে এ নির্বাচন স্থগিতের জন্য খোদ মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরাও সম্প্রতি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভায় দাবি তোলেন। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এ প্রশ্নে সিইসি তখন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে সিইসি মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কেক কেটে নির্বাচন ভবন থেকে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি। তবে নির্বাচন নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিইসি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটিসহ আরও কয়েকটি নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষের দিকে। আমরা প্রার্থীদের অনুরোধ করেছি, তারা যাতে জনসমাগম এড়িয়ে বিকল্পভাবে ভোটারদের কাছে ভোট চান।’ তিনি বলেন, ‘যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন অবশ্যই বিবেচনা করব। কিন্তু এখন পর্যন্ত চাচ্ছি নির্বাচনটা হয়ে যাক।’

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘করোনার কারণে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। পরিস্থিতি জটিল হলে তখন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে যাব।’

বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। এ নিয়ে সিটি নির্বাচনেও সমস্যা হতে পারে। নির্বাচন হলে হাজার হাজার ভোটার আতঙ্কিত হয়ে কেন্দ্রে যাবেন না। তাই আপাতত নির্বাচন স্থগিত করতে কমিশনকে বলা হয়েছে।’

ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামের কয়েকজন মানুষ মারা না গেলে নির্বাচন সরকার বন্ধ করবে না। নির্বাচন স্থগিত করতে লিখিত আবেদন করব।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরীয়ার কবীর বলেন, ‘হাতের ছোঁয়া থেকেই করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই বারবার হাত ধোয়ার কথা বলছি। ভোটের ইভিএম মেশিনে অনেকজনের ছোঁয়া লাগতে পারে। এতে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।’

তবে আরেক চিকিৎসক বলেছেন, ‘ভোট দেওয়ার আগে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল জীবাণুমুক্ত করে নিলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ সাংবিধানিক বিষয়গুলো বিলম্বিত হলে অনেক সমস্যা তৈরি হয়।’

চট্টগ্রাম নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আপাতত সিইসির বক্তব্যকেই অনুসরণ করছি। কেন্দ্র থেকে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত এলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর