শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

যশোর অঞ্চলের পোলট্রি শিল্পে করোনার ভয়াবহ প্রভাব

বিনামূল্যেও বাচ্চা নিচ্ছে না খামারিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

করোনার প্রভাবে ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে যশোর অঞ্চলের পোলট্রি শিল্পে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, হ্যাচারি থেকে খামারে স্থানান্তরিত না হওয়ায় প্রতিদিন দুই লাখ মুরগির বাচ্চা মারা যাচ্ছে। একেকটি বাচ্চা উৎপাদনে ৩২ টাকা খরচ হয়। এই বাচ্চা বিনামূল্যেও নিতে চাচ্ছেন না পোলট্রি খামারিরা। আবার স্বয়ংক্রিয় এই উৎপাদন প্রক্রিয়া হঠাৎ করেই বন্ধ রাখা যাচ্ছে না। বাচ্চা উৎপাদন বন্ধ করতে হলেও কমপক্ষে ২১ দিন অপেক্ষা করতে হয়। ফলে বাধ্য হয়েই প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে হ্যাচারি মালিকদের। পোলট্রি শিল্পের বিপণন কোম্পানি তামিম মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপক খন্দকার ইদ্রিস হাসান বলেন, ৩২ টাকার বাচ্চা এক টাকায়ও বিক্রি করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, যশোর অঞ্চলের এক হাজার খামার থেকে প্রতিদিন গড়ে ১১ লাখ কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস উৎপাদিত হয়। এক কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস উৎপাদনে খরচ হয় ১১০ টাকা। এখন প্রতি কেজি মাংস ৪০/৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর একটা ডিম উৎপাদনে সাড়ে সাত টাকা খরচ হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ছয় টাকায়।

খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম মোল্লা বলেন, পোলট্রির মাংস ও ডিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। করোনা বিস্তারের এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তিনি সবাইকে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর