বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় শ্বাসকষ্ট হৃদরোগীরা শঙ্কায়

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

করোনায় শ্বাসকষ্ট হৃদরোগীরা শঙ্কায়

সাধারণত হাঁপানি, হৃদযন্ত্রের বা শ্বাসতন্ত্রের ক্রিয়ায় বিঘœ, ক্রোনিক অবসট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), পালমোনারি এমবোলিজম (বয়স্কদের রোগ), নিউমোথোরাক্সসহ হার্ট ও ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্ট থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে এসব রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের কিছু কিছু সেবাকেন্দ্রে এসব রোগে আক্রান্তদের ভর্তি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামসহ সারা দেশের অনেক স্থানে ইতিমধ্যেই অনেক রোগী প্রয়োজনীয় জরুরি সেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ফলে জ্বর বা শ্বাসকষ্টসহ এ জাতীয় রোগী এখন চরম শঙ্কায় আছেন বলে জানা যায়। তবে সচেতন চিকিৎসক ও রোগীরা মনে করেন, করোনাভাইরাসের মতো এমন জরুরি সময়ে উচিত জেলা ভিত্তিক কিছু হাসপাতালকে স্বাভাবিক রোগের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া। যেখানে জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা এ জাতীয় রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদেরও বিশেষায়িত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) এক সাবেক শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকের মা শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে গেলে ভর্তি না নেওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। চমেক হাসপাতালের একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রতিনিধি মোস্তাফা আরাফাত ইসলাম বলেন, ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার অভাবে আমাদের এক সিনিয়র সহপাঠীর মাকে হারাতে হলো। আমরা চাই, জরুরি এ মুহূর্তে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। স্বাভাবিক সব রোগী যাতে জরুরি সেবা পায়।’ চমেক হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, ‘করোনাভাইরাসে মৃত্যুঝুঁকি আছে। কিন্তু এর চেয়ে প্রতিনিয়ত যেসব রোগে মৃত্যুঝুঁকি থাকে তাদের চিকিৎসার বিষয়েও প্রয়োজনীয় সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। বর্তমানের কঠিন সময়ে কাউকে যেন বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে না হয়।’ চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে না। স্বাভাবিক রোগের চিকিৎসায় এটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কারণ বৃহত্তর চট্টগ্রামের এটিই অন্যতম বৃহৎ সেবা কেন্দ্র। তাই স্বাভাবিক যে কোনো রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। চট্টগ্রামে বিআইটিআইডি এবং জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চলবে।’

সর্বশেষ খবর