শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার সার্কুলার

পোশাক কারখানা খুলছে ৫ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠান এখন এই প্যাকেজ থেকে বিনা সুদে ঋণ পাবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে। সুদবিহীন এ ঋণে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে সার্ভিসচার্জ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে।

নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সচল রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে সহজশর্তে ঋণ/বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান প্রসঙ্গে এ সার্কুলার জারি করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রফতানি বাণিজ্যের ওপর করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সচল রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ/বিনিয়োগ প্রদানের উদ্দেশ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ থেকে আর্থিক প্রণোদনা তহবিল গঠন করা হয়েছে। এ তহবিল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনা সুদে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক ঋণ/বিনিয়োগ হিসাবে অর্থ প্রদান করবে। কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ তিন মাস বেতন/ভাতা পরিশোধের জন্য ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহণ করতে পারবে। শুধু সচল রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা পাবে। এদিকে সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে বন্ধ রাখা হলেও এবার নিট পোশাক কারখানাসমূহ আগামী ৫ এপ্রিল থেকে খোলা রাখার বিশেষ নির্দেশনা মালিকদের দিয়েছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি- বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এমপি। তিনি বলেছেন, আগামীকাল ৪ এপ্রিলের পর থেকে মালিকরা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে কারখানা খোলা রাখতে পারবেন। তবে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের রক্ষায় সব স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানতে হবে। শ্রমিকের সব ঝুঁকি ও দায়-দায়িত্ব কারখানা মালিককে নিতে হবে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে মালিকদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদানের এই তথ্য জানান বিকেএমইএ সভাপতি। তিনি বলেছেন, কারখানা বন্ধ রাখার যে নির্দেশনা বিকেএমইএ দিয়েছে, তা আগামীকাল থেকে থাকছে না। সব শ্রমিককে মার্চ মাসের বেতন সময়মতো দিতে হবে। বেতন প্রদানের বিষয়ে কোনোরূপ ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না। কোনো অবস্থাতেই শ্রমিক অসন্তোষ যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কারখানা বন্ধ করতে হলে অবশ্যই শ্রম আইন অনুযায়ী করতে হবে। তা বিকেএমইএকে জানাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বিকেএমইএকে অবহিত না করে বা সিদ্ধান্ত না নিয়ে কারখানা বন্ধ করা যাবে না।

সর্বশেষ খবর