শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

খেতেই নষ্ট ২৫০ কোটি টাকার ফুল

বিপাকে সম্ভাবনাময় এই খাত, বিরাট জনগোষ্ঠী পথে বসার উপক্রম

সাইফুল ইসলাম, যশোর

খেতেই নষ্ট ২৫০ কোটি টাকার ফুল

দেশে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত কাঁচা ফুলের বেশিরভাগই যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ও আশপাশের এলাকার চাষিরা উৎপাদন করে থাকেন। এর বাইরে আরও ২৩টি জেলার চাষিরাও কমবেশি ফুল উৎপাদন করছেন। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ফুল উৎপাদন করছেন দেশের চাষিরা। আর ফুল চাষ, বাজারজাতকরণ ও বিপণনের সঙ্গে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও তার প্রেক্ষিতে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন বিপাকে সম্ভাবনাময় এই ফুল সেক্টরটি। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিরাট একটা জনগোষ্ঠীর এখন পথে বসার উপক্রম। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার পর ফুল সেক্টরকে বাঁচাতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ফ্লাওয়ার সোসাইটির নেতারা। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, দেশের ফুলচাষিরা বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ফুল উৎপাদন ও কেনা-বেচা করেন। এর মধ্যে ভ্যালেনটাইনস ডে, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, পহেলা ফাল্গুন, পহেলা বৈশাখের মতো বিশেষ কিছু দিবসেই বিক্রি হয় ৯০০ কোটি টাকার ফুল। এই দিবসগুলোতে বাজারে ফুল ওঠাতে চাষিরা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন এবং বিশেষ এই দিবসগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার তারা পথে বসতে চলেছেন। সারা দেশের ফুলের দোকানগুলো বন্ধ। গত ১৮ মার্চ থেকে চাষিরা কোনো ফুল বিক্রি করতে পারেনি। তিনি বলেন, ফুল খেতে রাখা যায় না, ফুল সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। সবমিলিয়ে খেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকার ফুল। এ অবস্থায় ফুলচাষিদের বাঁচাতে এবং দেশের সম্ভাবনাময় এই ফুল সেক্টরকে রক্ষা করতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্‌বান জানাচ্ছি। ২৫ জেলায় যেসব চাষি ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত তাদের তালিকা করে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া জরুরি। যাতে তারা আবারও ফুল চাষ করে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেন। এর সঙ্গে জড়িতদের পরিবারকে প্রতিদিনের খাদ্য সরবরাহ করা দরকার বলেও তিনি মনে করেন। এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সোসাইটির পক্ষ থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি আবেদন পাঠানো হয়েছে ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর