রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

তবু আসেন না তারা

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি সরকারি চিকিৎসক ও নার্সদের নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে নতুবা চাকরি ছাড়তে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছিলেন, ‘কর্মস্থলে চিকিৎসককে পাওয়া না গেলে সঙ্গে সঙ্গে ওএসডি করা হবে। ফাঁকিবাজ চিকিৎসক ও নার্সদের দরকার নেই।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে সেদিন মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী এমন কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরও টনক লড়েনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকের। কমপক্ষে সাতজন চিকিৎসককে দেখা মেলে মাসে চার থেকে পাঁচবার। এদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত। ফলে একদিকে চিকিৎসাসেবা যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি মেডিকেল কলেজেও পাঠদান করছেন না তারা। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর তাদের আর দেখাই মিলেনি। এদের মধ্যে আছেন, নাক-কান-গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাজহার শাহীন ও জাহাঙ্গীর আলম খান, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক নূর এ আলম খান ডেন্টাল ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক রাশেদ মো. গোলাম রব্বানী, আবু তায়েব মো. আহসান উল্লাহ, গ্যাস্ট্রো এন্ট্রারলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দৌলা, সহকারী অধ্যাপক শহীদুর রহমান। তবে বছরের পর বছর এই চিকিৎসকরা বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন নিয়মিতই। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গত বছরের এপ্রিল থেকে গত মার্চ পর্যন্ত নাক-কান-গলা বিভাগে ৭১৮টি অস্ত্রোপচার হয়। তবে অধ্যাপক মাজহার শাহীন ও জাহাঙ্গীর আলম খানের নামের পাশে নেই অস্ত্রোপচারের কোনো সংখ্যা। বাকি পাঁচ চিকিৎসক মিলে করেছেন সে সসব অস্ত্রোপচার। জানতে চাইলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, ‘চিকিৎসকদের না আসার কোনো সুযোগ নেই। তবে আপনি জানিয়ে ভালো করেছেন। বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে এবং হাজিরা খাতা দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৬ জেলার মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির একমাত্র আশ্রয়স্থল এই হাসপাতাল। এ ছাড়াও সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, গাজীপুরের একাংশের লোকও প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালেই আসেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর