সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পর আসছে কেরুর জৈব সার

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের পর কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) বাজারে নিয়ে আসছে কেরুর জৈব সার ‘সোনার দানা’।

স্বল্পমূল্যে কৃষকদের নিকট উন্নতমানের কেরুর জৈব সার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ‘সোনার দানা’ ব্যাপকহারে উৎপাদন ও বাণিজ্যিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ মার্চ থেকে প্রথমবারের মতো অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি।

জানা গেছে, জৈব সার তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে ২০১২ সালে জৈব সার কারখানাটি স্থাপিত হয়। চিনি কারখানার আখ থেকে বর্জ্য হিসেবে প্রাপ্ত  ফিল্টার মাড, প্রেসমাড ও ডিস্টিলারি ইফ্লুয়েন্ট স্পেন্টওয়াস থেকে জৈব সার ‘সোনার দানা’ তৈরি করায় এ জৈব সার ভেজালমুক্ত ও উন্নত মানসম্পন্ন।

বর্তমানে জৈব সার কারখানাটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা সাত হাজার মেট্রিক টন। জৈব সার সোনার দানা এক কেজি ও ৫০ কেজির প্যাকেটে বাজারজাত করা হচ্ছে। দেশের সর্বত্র এ সার পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। জৈব সার সোনার দানা ব্যবহারের ফলে কৃষি জমিতে ফসলভেদে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ২৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে ফসলের রোগবালাই কম হওয়ায় ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে বলে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদ আলী আনছারী বলেন, বর্তমানে বাজারেপ্রাপ্ত জৈব সারগুলোর  অধিকাংশ নিম্নমানের ও ভেজাল হওয়ার কারণে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তারা কৃষি জমিতে জৈব সার ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, জৈব সার সোনার দানা ব্যবহারের ফলে ফসলের কা-, পাতা ও ফল পরিপুষ্ট হয়। এ সার ফলের মিষ্টতা বৃদ্ধি করে, রং বাড়ায় এবং গুদামজাত শস্য সংরক্ষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর