মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

অল-আউট অ্যাকশনে চট্টগ্রাম পুলিশ

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ‘অলআউট’ অ্যাকশন শুরু করেছে চট্টগ্রামের প্রশাসন। লোকজনের অযথা বাইরে ঘোরাফেরা কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সীমিত করা হয়েছে দোকান খোলা-বন্ধের সূচিও। সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘যারা বাইরে ঘোরাঘুরি করছে তাদের বিষয়ে আমরা কঠোর হচ্ছি। যারা লোকজনকে হুমকির মুখে ফেলে সরকারি নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর থেকে আরও কঠোর হবে।’ চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘এত দিন আমরা লোকজনকে বুঝিয়ে চেষ্টা করেছি ঘরে রাখতে। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, উল্লেখযোগ্য মানুষ করোনার বিষয়ে এখনো সচেতন নয়। তাই পুলিশের কাজ কঠিন হয়ে উঠেছে। এখন দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে আমরা অ্যাকশনে যাব।’

জানা যায়, চট্টগ্রামে দুই দিনের ব্যবধানে বাবা ও ছেলের করোনা পজিটিভ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রামের প্রশাসন। দুই রোগী চিহ্নিত হওয়ার পর সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রামের প্রশাসন। এরই মধ্যে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এ আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে থানা পুলিশকে। এ ছাড়া যৌক্তিক কারণ ছাড়া ঘোরাফেরাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে থানা পুলিশকে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও নানান নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে। যার মধ্যে রয়েছে বেলা ১১টার পর থেকে বন্ধ থাকবে কাঁচা বাজার ও ফলের দোকান, বিকাল ৫টার পর মুদি দোকান বন্ধ থাকবে। তবে এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে ওষুধের দোকান ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলো। গ্রামের চায়ের দোকান ও লোকজনের আড্ডা বন্ধের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলার টঙের দোকানগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। প্রশাসনের এসব কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তায় রয়েছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে মাস্ক বিতরণ ও জনসচেতনতার কাজও করছে সেনাবাহিনী।

বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তাকারী সেনা দলের সমন্বয়কারী ২৪ পদাতিক ডিভিশনের কর্মকর্তা মেজর আবু সাঈদ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী। নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর ১৮টি দল কাজ করছে। একই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহারে ও জনসচেতনতা তৈরির কাজও করছে সেনাবাহিনী।’

সর্বশেষ খবর