বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সংকটে রাজশাহী মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর

অভিযান চলে ম্যানুয়াল কায়দায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

জনবলের অভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলছে রাজশাহী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যক্রম। দুটি টিমে ভাগ হয়ে পাঁচজন করে মাত্র ১০ জন কর্মকর্তা দিয়ে চলছে অভিযান। আর ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে চলছে পুরো দফতরটি। আইন প্রয়োগকারী অন্য সংস্থাগুলো যখন প্রযুক্তির দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের অভিযান চলছে ম্যানুয়াল কায়দায়। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে অনুমোদিত জনবল আছে ১৮ জন। উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, প্রসিকিউটর, তত্ত্বাবধায়ক, পরিদর্শক, সহকারী প্রসিকিউটর, হিসাবরক্ষক, উপপরিদর্শক, সহকারী উপপরিদর্শক, কম্পিউটার অপারেটর, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহকারী, চালক, সিপাই ও অফিস সহায়ক। তবে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ৩৬টি পদের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বর্তমানে জেলা কার্যালয়ে একজন উপপরিচালক, একজন সহকারী উপপরিচালক, একজন প্রসিকিউটর ও দুজন সিপাহি মিলে অভিযান চালান। ১৮ জন কর্মকর্তার মধ্যে ১০ জন অভিযানে অংশগ্রহণ করে বাকি আটজন অফিসের বিভিন্ন কাজ করেন। এ ১০ জনের মধ্যে দুটি টিমে ভাগ হয়ে পাঁচজন জেলা কার্যালয়ে এবং অপর পাঁচজন নগরীর বানেশ^র অফিসে কাজ করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, রাজশাহী জেলা সীমান্তবর্তী এলাকা। এসব এলাকায় মাদকের প্রবণতা অনেক বেশি। এখানে ব্যাপক জনবলের দরকার হলেও দুটি টিমে ভাগ হয়ে কাজ করছেন মাত্র ১০ জন। সংস্থাটির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জনবল সংকট। এ ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় খালি হাতে অভিযানে যেতে হয়। রাজশাহী বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে থেকেও মাদক নিয়ন্ত্রণে অধিদফতরের কার্যক্রমে আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। জনবল সংকট, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি না থাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ যে বাধাগুলো আছে সেটা নতুন নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে অনেকটা সমাধান হবে। ফলে কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, বিভাগীয় কার্যালয়ে সরকারি ৯টি পদের বিপরীতে বর্তমানে ৫ জন কর্মরত আছেন। নতুন নীতিমালায় লোকবল বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত জেলা কার্যালয় মোট ৫০৩টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে সর্বমোট ২৫৮টি মামলার মধ্যে নিয়মিত মামলার সংখ্যা ৯৯টি ও মোবাইল কোর্ট মামলা ১৫৯টি। গ্রেফতারকৃত আসামির সংখ্যা ২৫৪ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর