রাজশাহী বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমিত কভিড-১৯ কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে এরই মধ্যে শুধু রাজশাহী জেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১০টি চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রস্তুত আছেন চিকিৎসক এবং নার্সরাও। আরও দুটি বেসরকারি হাসপাতাল করোনার চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া নগরীতে ফাঁকা পড়ে থাকা কয়েকটি ভবনের বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসার জন্য জেলায় ১০টি চিকিৎসা কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে ৪৬২টি শয্যা আছে। তবে করোনার রোগীদের জন্য প্রস্তুত আছে ১১৫টি শয্যা। পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং নার্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ইতিমধ্যে চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের মাঝে ১ হাজার ১৭টি ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই) সরবরাহ করা হয়েছে। আরও ২ হাজার ২০টি পিপিই মজুদ আছে। প্রয়োজন হলে আরও পিপিই আনা হবে। এদিকে কোনো রোগীর মাঝে জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাকে রাজশাহীর সংক্রামক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ভাইরোলজি বিভাগে স্থাপিত করোনা ল্যাবে তার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনার চিকিৎসায় রামেক হাসপাতালে গঠিত চিকিৎসা কমিটির প্রধান ডা. আজিজুল হক আযাদ বৃহস্পতিবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ১ এপ্রিল ল্যাবে পরীক্ষা শুরু হয়। বুধবার পর্যন্ত ২৪৩টি নমুনার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে কোনো রোগীর নমুনায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। গতকালও ল্যাবে ৯৪ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা চলছে।

তিনি বলেন, নমুনা সংগ্রহের হার দিন দিন বাড়ছে। বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা সম্ভব। ডা. আযাদ বলেন, করোনা রোগী এখনো শনাক্ত না হলেও রাজশাহী ঝুঁকির বাইরে নয়। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।