শিরোনাম
শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

চরম দারিদ্র্য বেড়েছে ৬০ শতাংশ ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে খাবার নেই

জরিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চরম দারিদ্র্য বেড়েছে ৬০ শতাংশ ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে খাবার নেই

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে থাকতে গিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের আয় অনেক কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে চরম দারিদ্র্যের হার আগের চেয়ে বেড়ে গেছে ৬০ শতাংশ। ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে কোনো খাবারই নেই। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ৬৪ জেলায় ২৬৭৫ জন নিম্নআয়ের উত্তরদাতার মধ্যে পরিচালিত জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। গত ৩১ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিলের মধ্যে জরিপ পরিচালিত হয়।

করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যগত দিকগুলো সম্পর্কে নিম্নআয়ের মানুষের উপলব্ধি এবং এর অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে ধারণা পেতে জরিপটি পরিচালিত হয়। এদিকে কী কী ব্যবস্থা অবলম্বনের মাধ্যমে  কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করা সম্ভব সে বিষয়েও ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতার পরিষ্কার ধারণা নেই। এমনকি করোনা সংক্রমণের লক্ষণ (জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট) দেখা দিলে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরাসরি চলে না আসার যে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে  সে বিষয়েও ধারণা নেই অধিকাংশের। শতকরা ৫৩ জন উত্তরদাতা বলেছেন প্রতিবেশীর এসব লক্ষণ দেখা দিলে তাকে শহরের হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন। মাত্র ২৯ শতাংশ হেলপলাইনে ফোন করার কথা বলেছেন।

জরিপে উঠে আসা চিত্রের পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করা হয় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য : টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এর ব্যবস্থাপনার জন্য করণীয় সম্পর্কে পৃথক, বৃহৎ মাত্রার প্রচারাভিযান চালাতে হবে। সামাজিক দূরত্বের পদক্ষেপ সঠিক বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী খাদ্য সংকটে পড়া মানুষের কাছে অতি শিগগিরই খাদ্য  পৌঁছাতে হবে নয়তো তাদের ঘরে রাখা সম্ভব হবে না। জীবিকা অর্জনে তারা বাইরে বের হতে বাধ্য হবেন। শহর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামে ফিরে গেছেন যারা গ্রামকেন্দ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত নন। তাদের কাছে জরুরি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর