বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

পিয়াজের সংকট নেই তবু বাড়ছে দাম

১৬১২১ নম্বরে অভিযোগ জানানোর অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে পিয়াজের নেই কোনো সংকট। তবুও বাড়ছে দাম। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও পিয়াজের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই দাম বেড়ে গতকাল রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে প্রতিকেজি পিয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পিয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আবারও বাজারে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযান দেখতে চান ক্রেতারা।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার ম-ল বলেন, পণ্য ও সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে হয়রানি বা প্রতারণার শিকার হলে ১৬১২১ হটলাইন নম্বরে অভিযোগ জানানোর অনুরোধ করছি। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনই আমাদের অভিযান চলছে। তারপরও আমরা দেখছি- হঠাৎ করে পিয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা পাইকারি পিয়াজের বাজারে বিশেষ অভিযান করব। কেউ অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে, করোনাভাইরাস আতঙ্ককে পুঁজি করে মার্চের মাঝামাঝি কারসাজির কারণে বাড়তে থাকে পিয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকার পিয়াজ বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। পরে বিভিন্ন সংস্থা একযোগে পিয়াজের আড়ত-পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযান চালায়। দাম কারসাজির অপরাধে জেল-জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসে। তখন প্রতিকেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হয়।

তবে আবারও গত সপ্তাহ থেকে অস্থির হতে শুরু করেছে পিয়াজের বাজার। ধাপে ধাপে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

মালিবাগ বাজারের পিয়াজ বিক্রেতা মো. আবদুল জানান, এক সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম বাড়ছে। আজ আড়তেই পাইকারি কেনা পড়েছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা। গাড়িভাড়া খরচ মিলিয়ে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা পড়েছে। ৬০ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি করছেন তিনি। তার অভিযোগ, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে।  গত সপ্তাহে ৩৫ টাকাও বিক্রি করেছি। এখন কেনা বেশি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।

পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের পাইকারি পিয়াজ ব্যবসায়ী মেসার্স আলী ট্রেডার্সের কর্ণধার সামসুর রহমান দাম বাড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ভারতের পিয়াজ সরবরাহ কম। দেশি পিয়াজ দিয়েই চাহিদা পূরণ হচ্ছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন জেলায় প্রশাসন ঠিকমতো হাট-বাজার বসতে দিচ্ছে না। ফলে চাহিদার তুলনায় পিয়াজের সরবরাহ কম। এ ছাড়া পরিবহন ভাড়াও আগের চেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে দাম বেশি।

এদিকে হঠাৎ করে পিয়াজের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজধানীর ক্রেতারা। হাতিরপুল বাজারে আসা ক্রেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন দাম কারসাজির বিরুদ্ধে সরকারের অ্যাকশন দেখতে চান। তিনি বলেন, এখন পিয়াজের অভাব নেই। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা দিয়ে কিনেছি। আজকে (গতকাল) কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বেশি দামে কিনতে হলো। কারণ কী? সুযোগ পেলেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর